পাতা:শ্রীশ্রীনিত্যানন্দচরিতামৃত.pdf/১০৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মধ্যখণ্ড । . অপরাধ-ভঞ্জনী গঙ্গার সেবা কার্য্য । ইহাতে অধিক বা তোমার কোন ভাগ্য ৷ কাকু করি সভারে কীরিহু নমস্কার । তবে সব অপরাধ ক্ষমিবে তোমার ॥* উপদেশ পাইয়া মাধই ততক্ষণে । 警 চলিলা প্রভুরে করি বহু প্রদক্ষিণে ॥ ‘কৃষ্ণ কৃষ্ণ’ বলিতে নয়নে বহে জল । গঙ্গাঘাট সজ্জ করে, দেখয়ে সকল । লোকে দেখি করে বড় অপূর্বব গেয়ান । সবারে মাধাই করে দণ্ডপরণাম ॥ “জ্ঞানে বা অজ্ঞানে যত কৈলু অপরাধ । সকল ক্ষমিয়া মোরে করহ প্রসাদ ॥” মাধাইর ক্রন্দনে কণনদয়ে সবর্ব-জন । আনন্দে “গোবিন্দ’ সবে করেন স্মরণ ॥ শুনিল সকল লোকে “নিমাই-পণ্ডিত । জগাই-মধাইর কৈল উত্তম চরিত ॥” শুনিয়া সকল লোক হইল। বিস্মিত । সবে বলে “নর নহে নিমাই-পণ্ডিত | না বুঝি নিন্দয়ে যত সকল দুৰ্জ্জন । নিম ই-পণ্ডিত সত্য করেন কীর্তন | নিমাই-পণ্ডিত সত্য শ্রীকৃষ্ণের দাস । নষ্ট হৈবে—যে র্তারে করিবে পরিহাস । এ দুয়ের বুদ্ধি ভাল যে করিতে পারে । সেই বা ঈশ্বর, কি ঈশ্বর-শক্তি ধরে । প্রাকৃত মনুষ্য নহে নিমাই-পণ্ডিত । এবে সে মহিমা তান হইল বিদিত ॥” এইমত নদীয়ার লোকে কহে কথা । তার লোক না মিশায়----নিন্দা হয় যথা ॥ পরম-কঠোর তপ করয়ে মাধাই । ‘ব্রহ্মচারী’ হেন খ্যাতি হইল তথাই ৷ নিরবধি গঙ্গা দেখি থাকে গঙ্গাঘাটে । স্বহস্তে কোদালি লই আপনই খাটে !