পাতা:শ্রীশ্রীনিত্যানন্দচরিতামৃত.pdf/১৭৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১৬৪ ' শ্ৰীশ্ৰীনিত্যানন্দচরিতামৃত । তণ্ডুল দেখিয়া হাসে’ পণ্ডিত গোসাঞি । “নয়নে ত এমন তণ্ডুল দেখি নাঞি ॥ এ তণ্ডুল গোসাঞি ! কি বৈকুণ্ঠে থাকিয়া । আনিয়াছেৰ কি গোপীনাথের লাগিয়া ? লক্ষীমাত্র এ তুণ্ডুল করেন রন্ধন । কৃষ্ণ যে ইহার ভোক্তা, তবে ভক্তগণ ॥” আনন্দে তণ্ডুল প্রশংসেন গদাধর । বস্ত্ৰ লই গেলা গোপীনাথের গোচর ॥ দিব্য-রঙ্গ-বস্ত্র গোপীনাথের শ্রীঅঙ্গে । দিলেন, দেখিয়া শোভা ভাসেন আনন্দে ॥ তবে রন্ধনের কার্য্য করিতে লাগিলা । আপন টোটায় শাক তুলিতে লাগিলা ॥ কেহ বোনে নাহি–দৈবে হইয়াছে শাক । তাহা তুলি আনিয়া করিলা এক পাক ৷ তেঁতুল বৃক্ষের যত পত্র স্থকোমল । তাহা আনিয়া তগি দিলা লবণ জল | তার এক ব্যঞ্জন করিলা আয়-নাম । রন্ধন করিয়া গদাধর ভাগ্যবান ॥ গোপীনাথ-অগ্ৰে লৈয়া ভোগ লাগাইলা । হেনকালে গৌরচন্দ্র আসিয়া মিলিলা ॥ প্রসন্ন শ্ৰমুখে ‘হরে কৃষ্ণ কৃষ্ণ' বলি । বিজয় হইল গৌরচন্দ্র কুতুহলী ॥ “গদাধর । গদাধর ।” ডাকে গৌরচন্দ্র । সন্ত্রমে বন্দেন গদাধর পদদ্বন্দ । হাসিয়া বলেন প্রভু “কেন গদাধর । আমি কেন নহি নিমন্ত্রণের ভিতর ? অামিত তোমরা-চুই হৈতে ভিন্ন নহি । না দিলেও তোমরা, বলেতে আমি খাই । নিত্যানন্দদ্রব্য-–গোপীনাথের প্রসাদ । তোমার রন্ধন—মোর ইগে অাছে ভাগ ॥” কুপাবাক্য শুনি নিত্যানন্দ গদাধর । মগ্ন হইলেন সুখ-সাগর-ভিতর ॥