পাতা:শ্রীশ্রীনিত্যানন্দচরিতামৃত.pdf/১৮২

অস্ত্যখণ্ড । ఏS3న যা বলিবে, তাহাই করিতে হয় মোরে । অলঙঘন-বচন, কে পারে লঙ্ঘিবারে ॥ সত্য বল পুনঃ কবে দরশন পাব । তোমার বিচ্ছেদ-তুঃখ কেমনে সহিব ৷” প্রভু কহে “প্রতি বর্ম এথা না আসিবা । • ইচছা মাত্র আমাকে সে দেখিতে পাইব ॥ " তোমার নৰ্ত্তনে আর মাতার রন্ধনে । নিঃসন্দেহ অামারে পাইবে দুই-স্তানে ॥ রাত্রি দিন রাধা ভাবে ভাবিত হইয়া । কৃষ্ণের বিরহ সব অtশ্বাদ করিয়া । অল্পদিনে এই লীলা করি তিরোভাব । তব গৃহে পুনহ হইব আবির্ভাব ।” নিত্যানন্দ সঙ্গে যত গুপ্তকথা হৈল । অন্তরঙ্গ-ভক্তে স্বরূপ প্রকাশ কৈল । “গুপ্ত অবতার মোর বেদে নাহি জানে । আপনার মন-কথা কহি তোমা স্থানে ॥ সত্য সত্য কহি যে অন্যথা কভু নয় । তোমার গৃহেতে মোর হইবে বিজয় ।” এত শুনি নিত্যানন্দ পড়ে লোটাইয়া । চরণের ধুলা লোটে চৈতন্ত আসিয়া । দুই জনে গলাগলি করয়ে রোদন । এইমতে সেই রাত্রি হৈল জাগরণ ॥ প্রাতে গিয়া দুই-জনা নিত্য-ক্রিয়া করি । অনিমিষে দেখে জগন্নাথের-মাধুরী ৷ সেদিন হৈতে প্রভুর হৈল কোন দশা । নিরন্তর কহে কৃষ্ণ-বিরহের-ভাষা ৷ এ অতি নিগূঢ় কথা কেহ না জানিল । প্রভুর মনোবৃৰ্ত্তি প্ৰভু সকলি বুঝিল । ইঙ্গিতে কহিল আস্তরঙ্গ ভক্ত-স্তানে । এইসব কথা অপর কেহ নাহি জানে ॥ একে একে ভক্তবৃন্দে তীর্থ যাত্রাচ্ছলে । প্রভু-পদে বিদায় হইয়া সবে-চলে ।