পাতা:শ্রীশ্রীনিত্যানন্দচরিতামৃত.pdf/৮৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শ্ৰীশ্ৰীনিত্যানন্দচরিতামৃত । এই দুই দেখি সব নদীয়া ডরায় । পাছে কারো কোন দিন বসতি পোড়ায় ॥ হেন পাপ নাহি, যাহা না করে দুইজন। ডাকা, চুরি, মদ্য-মাংস করয়ে ভোজন ॥” শুনি নিত্যানন্দ বড় কারুণ্য-হৃদয় । তুইয়ের উদ্ধার চিন্তে’ হইয়া সদয় ॥ “পাতকী তারিতে প্রভু কৈলে অবতার । এমত পাতকী কোথা পাইবেন অমাব || ' লুকাইয়া করে প্রভু আপনা’ প্রকাশ । প্রভাব না দেখি লোকে করে উপহাস ॥ এ দুইয়েরে প্রভু যদি অনুগ্রহ করে। তবে সে প্রভাব দেখে সকল-সংসারে | তবে হঙ নিত্যানন্দ-চৈতন্যের দাস । এ দুইয়েরে করে যদি চৈতন্য-প্রকাশ ॥ এখন যেমন মত্ত আপন না জানে । এইমত হয় যদি শ্রীকৃষ্ণের নামে ৷ ‘মোর প্রভু বলি যদি কান্দে দুইজন । তবে সে সার্থক মোর যত পর্যাটন । যে যে জন এ দুয়ের ছায়া পরশিয়া । বস্ত্রের সহিত গঙ্গাস্বান করে গিয়া ॥ সেই সব জন যদি এ দেণহারে দেখি । গঙ্গা-স্নান হেন মানে, তবে মোরে লিখি ॥” শ্ৰীনিত্যানন্দপ্রভুর মহিমা অপার । পতিতের ত্রাণ লাগি যার অবতার ॥ এতেক চিন্তিয়া প্রভু হরিদাস-প্রতি । বলে “হরিদাস ! দেখ দোহার দুৰ্গতি ॥ ব্রাহ্মণ হইয়া হেন দুষ্ট-ব্যবহার । এ দোহার যম-ঘরে নাহিক নিস্তার ॥ প্রাণাস্তে মারিল তোমা' যবনের গণে । তাহারও করিলা তুমি ভাল মনে মনে ॥ যদি তুমি শুভানুসন্ধান কর মনে মনে । তবে সে উদ্ধার পায় এই দুইজনে ॥