toole পাতঞ্জলীয় ঈশ্বর সাযুজ্যরূপ কৈবল্যবাদ উদিত হয় । নিরুপধিক চিত্তম্বের শুদ্ধাবস্থায়, অর্থাৎ স্থল ও লিঙ্গের সাক্ষাৎ দর্শন বা কূট সমাধির ব্যতিরেক ভাবনা দূর হইলে, শুদ্ধ চিত্তত্ত্বের সহজ প্রকাশ হয়। তাহার নাম সহজ সমাধি বা শুদ্ধ জ্ঞান । এই জ্ঞানই ভক্তি পোষক । জ্ঞানালোচনা দ্বারা বন্ধ জীব প্রথমে জড় জগতের ভিন্ন ভিন্ন বস্তু সকলের জ্ঞান সংগ্রহ করে। পরে ঐ সকল বস্তুগত ধৰ্ম্ম এবং বস্তু সকলের মিলসাবস্থায় সে সমস্ত ধৰ্ম্ম উদিত হয়, ঐ সকল বিষয় অবগত হইতে থাকে। কখন বা ঐ সকল বস্তু ও ধৰ্ম্ম আলোচনা করিয়া সকলের কৰ্ত্ত ও পালয়িত রূপ ঈশ্বরকে নিন্দেশ করত তাহার প্রতি এক প্রকার হৈতুকী ভক্তি প্রদর্শন করে। কখন বা এই জগংকে নশ্বর জানিয়া নিজে বৈরাগ্য সাধন করে এবং প্র পঞ্চশতীত কোন অনিকর্বচনীয় তত্ত্বের সহিত আপনাকে মিলিত করিয়া অভেদ ব্রহ্মবাদের কল্পনা করে। কখন "বা অস্তিত্বের প্রতি ঘৃণা করিয়া নাস্তিত্ব ও নিৰ্ব্বাণকে মুখ বলিয়া তাহ প্রাপ্ত হইবার উদ্যোগ করে । ঘেরূপেই আলোচন করুক নী কেন, অভেদ চিন্তা ও নিৰ্ব্বাণ চিস্তাকে অকিঞ্চিৎকর জানিয়া জীব অবশেষে কোন পরম তত্ত্বের আনুগত্য স্বীকার করে। সেই আনুগত্য স্পষ্টীভূত হইলেই ভক্তি হইয় উঠে। অতএব ভক্তিই জীবের জ্ঞান ফলের চরম উদেণ্ড । কৰ্ম্মের অবাস্তর ফল ভুক্তি ও জ্ঞানের অবাস্তুর ফল মুক্তি এবং তদুভয়ের চরম ফল বলুিল্লা ভক্তিকে বুঝিতে হইবে । যে স্থলে জ্ঞান ভক্তিকে চরম ফল বলিয়া উদ্দেশ না করে, সে স্থলে জ্ঞান সোপাধিক ও ভগবৎ বহি, *খ । যে স্থলে ভক্তিকে উদ্দেশ করিয়া জ্ঞানের চালনাহয়, সে স্থলে জ্ঞানকে সাধন ভক্তি বলা যায় । অনেকে মনে করেন যে ভক্তির নিতা-সিদ্ধ-স্বরূপ ‘নাই ; কেপল কৰ্ম্মের বিশুদ্ধাবস্থা ও জ্ঞানের কৈবল্যাবস্থাকে ভক্তি বলা যায়। এরূপ সিদ্ধান্ত ভ্ৰমাত্মক স্বপ্ন’দশী পণ্ডিত গণ বলেন যে বিশুদ্ধ আস্থার আস্বাদন * বৃত্তির পরিচালনাকে কেবল, অকিঞ্চন বা অনন্য। ভক্তি বলা যtল । তাহার অন্যভর নাম প্রেম আয়ার বিচার বৃত্তির পরিচালনাকে জ্ঞান বলে। জাস্বাদন শূন্য বিচার প্রায়ই চরমে ব্ৰহ্ম বাদ বা নিৰ্ব্বাণ ৰাঙ্গ রূপ অনর্থকে জানয়ন করে । জীব স্বভাবতঃ আস্বাদন প্রধান। কেবল বিচারমন্ধ হইঠেগেলে স্ব-স্ব ভাব হইতে চুক্তি হয় । জ্ঞান ধখন প্রেমের প্রভি;
পাতা:শ্রীশ্রীমদ্ভগবদ্গীতা (কেদারনাথ দত্ত).djvu/৮
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।