পাতা:শ্রীশ্রীরামকৃষ্ণভাগবত.djvu/২৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১২ শ্রীশ্রীবামকৃষ্ণভাগবত। কলিযুগে জীব যবে অন্নগত-প্রাণ, বৈদেশিক ভাবে যবে চিত্তসমাধান। ৬৫ যাহাতে সদাই রহে ভাবেব অভাব, তাবে দিল বামকৃষ্ণ ভগবত ভাব । ৬৬ দীনহীন গুপ্তভাবে তাব আগমন, তাপিত মানবে শান্তি দিবাব কারণ।" ৬৭ যে কোন ভাবেতে যার হযেছে দর্শন, সেভাবে হৃদযে শাস্তি, করেছ স্থাপন। ৬৮ যার চিত তব তরে সদা ব্যাকুলিত। শুদ্ধা ভক্তি দিলে তারে হয়ে আকুলিত। ৬৯ ধৰ্ম্মের পার্থক্যভাৰ তুমি ঘুচাইলে ; সৰ্ব্ব ধৰ্ম্ম সমন্বযে সাধনা কবিলে। ৭০ মাতৃভাবে নিজশক্তি, আপনি পূজিলে, তোমার আমিত্ব তুমি, তোমাতে মিলালে। ৭১ ৬e । পাশ্চাত্য শিক্ষাদ্বারা পাশ্চাত্য রীতি নীতি ও জাহার ব্যবহার হওয়া ৬৬ ৷ ভাববিহীন পশুবৎ । ৬৭। ঠাকুর স্বয়ং বলেন এ অবতারে তাহার ছদ্মবেশে আগমন । ৬৮। যে প্রাণমনে যে ভাবে তাহাকে ভাবিয়াছে, তাহার তদ্রুপ লাভ হইয়াছে। অর্থাৎ যে, গুরুভাৰে উাহাকে ভাবিয়াছে, তাহার কাছে তিনি গুরু, ও যে ভগবানভাবে ভাবিয়াছে তাহার নিকট ভগবানকপে দেখা দিয়াছেন। ৬৯। কযেকজন ভক্তকে বিনা তপস্তাৰ চিত্তশুদ্ধিদান করিয়া চরিতার্থ করেন। ৭• । স্ত্রীরামকৃষ্ণদেব স্বয়ং সৰ্ব্বধর্শ্বের সৰ্ব্ব সম্প্রদায়সম্মতসাধনা দ্বারা, ধর্থের একত্ব ভাৰ শিক্ষা দিয়াছেন। তিনি বলেন "বিভিন্ন ধৰ্ম্ম, একই ঈশ্বরে পহছিবার ভিন্নং পৰ प्रांद्ध” । ৭১ । ভগবান সকল অবতারে শক্তি সহ লীলা করিয়াছেন, এবং স্বীয় শক্তিতে প্রেম সাধনা করিযী লোক শিক্ষা দিয়াছেন, কিন্তু ভগবান রামকৃষ্ণনিজ শক্তিতে মাতৃভাবে সাধনা করিয়া কামিনী যে ভোগ লালসা চরিতার্থ কলিবার জষ্ঠ মহে, এবং রমণীকে "মাতৃভাবে সাধনা ভিন্ন রিপূদমনের যে অস্ত উপায় নাই, তাহা বিশদভাবে দেখাইয়া দিয়া, জগতে এক যুগান্তর ঘটাইরা দিয়াছেন।