পাতা:শ্রীশ্রীরামকৃষ্ণ কথামৃত চতুর্থ ভাগ.djvu/১০২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দক্ষিণেশ্বর। রাখাল, মহিমা, প্রভৃতি ভক্তসঙ্গে । Գ(t ঠাকুরের বালক-স্বভার,—ফুধা পাইয়াছে ; মাষ্টারকে বলিতেছেন— “কৈ, কি এনেছ ?” রাখালকে দেখিয়া ঠাকুর সমাধিস্থ হইলেন। সমাধি ভঙ্গ হইঠেছে। প্রকৃতিস্থ হইবার জন্য ঠাকুর বলিতেছেন,— ‘আমি জিলিপী খাবো’, ‘আমি জল খাবো’ । . . . ঠাকুর বালক-স্বভাব,—জগন্মাতাকে কেঁদে কেঁদে বলছেন—ব্রহ্মময়ী ! আমার এমন কেন করলি ? আমার হাতে বড় লাগছে – ( রাখাল, মহিমা, হাজরা প্রভৃতি প্রতি ) আমার ভাল হবে ? ভক্তরা ছোট । ছেলেটিকে যেমন বুঝায়,—সেইরূপ বলছেন, ‘ভাল হবে বৈকি! ঐরামকৃষ্ণ (রাখালের প্রতি)। যদিও শরীর রক্ষার জন্য তুই আছিস, তোর দোষ নাই,—কেন না, তুই থাকলেও রেল পর্য্যন্ত ত যেতিস না । [ ত্রীরামকৃষ্ণের সন্তানভাব । ‘ব্রহ্মজ্ঞানকে আমার কোটা নমস্কার । ] ঠাকুর আবার ভাববিষ্ট হইলেন। ভাবাবিষ্ট হইয়া বলিতেছেন— “ওঁ ওঁ ওঁ—ম আমি কি বলহি ; মা আমায় ব্রহ্মজ্ঞান দিয়ে বেহু স করে না—ম আমায় ব্রহ্মজ্ঞান দি ও না। আমি ষে ছেলে । —ভয়তরাসে।--আমার মা চাই –ব্রহ্মজ্ঞানকে আমার কোটী নমস্কার । ও যাদের দিতে হয়, তাদের দাওগে । আনন্দময়ী !—আনন্দময়ী : ঠাকুর উচ্চৈঃস্বরে আনন্দময়ী। আনন্দময়ী। বলিয়া কাদিতেছেন, আর বলিতেছেন—“আমি ঐ খেদে খেদ করি’ ( শ্যামা ) । তুমি মাত থাকতে আমার জাগা ঘরে চুরি ॥ ঠাকুর আবার মাকে বলিতেছেন—“আমি কি অন্যায় করেছি মা ?— আমি কি কিছু করি মা ?—তুই যে সব করিসূ মা। আমি যন্ত্র, তুমি যন্ত্রী। ( রাখালের প্রতি, সহস্তে ) দেখিস, তুই যেন পড়িস্ নে —মান করে যেন ঠকিস্ না। ঠাকুর মাকে আবার বলিতেছেন—‘ম, আমি লেগেছে বলে কি কঁদেছি ? না —“আমি ঐ খেদে খেদ করি (শ্যামা ) । তুমি মাতা থাকতে আমার জাগা ঘরে চুরি ॥