পাতা:শ্রীশ্রীরামকৃষ্ণ কথামৃত চতুর্থ ভাগ.djvu/১২৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দক্ষিণেশ্বর। ঠাকুরদাদা, মহিমাচরণ প্রভৃতি ভক্তসঙ্গে। ৯৯ ফুটো করে, তার পর এক বৎসর পরে দেখলে, সব দান বেঁধে রয়েছে— মিছরির মত। রস যা বেরিয়ে যাবার, ফুটো দিয়ে তা বেরিয়ে গেছে। “স্ত্রীলোক একবারে ত্যাগ সন্ন্যাসীর পক্ষে । তোমাদের হয়ে গেছে, তাতে দোষ নাই । “সন্ন্যাসী স্ত্রীলোকের চিত্ৰপট পৰ্য্যন্ত দেখবে না। সাধারণ লোকে ত৷ পারে না । সা রে গা মা পা ধী নী। ‘নী’তে অনেক ক্ষণ থাকা যায় না । “সন্ন্যাসীর পক্ষে বীৰ্য্যপাত বড়ই খারাপ । তাই তাদের সাবধানে থাকতে হয় । স্ত্রীরূপ দর্শন যাতে না হয় । ভক্ত স্ত্রীলোক হলেও সেখান থেকে সরে যাবে। স্ত্রীরূপ দেখা ও খারাপ । জাগ্রত অবস্থায় না হয়, স্বপ্নে বীৰ্য্যপাত হয় । “সন্ন্যাসী জিতেন্দ্রিয় হলেও লোকশিক্ষার জন্য মেয়েদের সঙ্গে আলাপ করবে না । ভক্ত স্ত্রীলোক হলেও বেশীক্ষণ আলাপ করবে না । “সন্ন্যাসীর হচ্ছে নির্জলা একাদশী । আর দুরকম একাদশী আছে । ফল মূল খেয়ে,—আর লুচি ছক্কা খেয়ে । ( সকলের হাস্য । ) “লুচি ছক্কার সঙ্গে হলে দুখান রুটি দুধে ভিজছে । ( সকলের হাস্য )। ( সহাস্তে ) “তোমরা নির্জলা একাদশী পারবে না । [ পূর্বকথা—‘কৃষ্ণকিশোরের একাদশী রাজেন্দ্র মিত্র । ] “কৃষ্ণকিশোরকে দেখলাম, একাদশীতে লুচি ছক্কা খেলে। আমি হৃদুকে বল্লাম—সছ, আমার কৃষ্ণকিশোরের একাদশী করতে ইচ্ছা হচ্ছে । (সকলের হাস্য )। তাই একদিন করলাম । খুব পেট ভরে খেলাম । তার পর দিন আর কিছু খেতে পারলাম না ( সকলের হাস্য )। যে কয়েকটা ভক্ত পঞ্চবটীতে হঠযোগীকে দেখিতে গিয়াছিলেন, তাহারা ফিরিলেন । শ্রীরামকৃষ্ণ র্তাহীদের বলিতেছেন,—“কেমন গো— কিরূপ দেখলে ? তোমাদের গজ দিয়ে তো মাপলে ?” ঠাকুর দেখিলেন, ভক্তর প্রায় কেহই হঠযোগীকে টাকা দিতে রাজি নয় । ক্রীরামকৃষ্ণ । সাধুকে টাকা দিতে হলেই তাকে আর ভাল লাগে না । “রাজেন্দ্র মিত্ৰ—আটশ টাকা মাইনে—প্রয়াগে কুম্ভমেলা দেখে এসেছিল । আমি জিজ্ঞাসা করলাম—“কেমন গো, মেলায় কেমন সব