পাতা:শ্রীশ্রীরামকৃষ্ণ কথামৃত চতুর্থ ভাগ.djvu/১২৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

> ૦ ૨ àääts-Fotos [ 1884, 23rd March. অধর । আজ্ঞা, অনেক গুণে কাজে পড়ে গিছলাম। ইস্কুলের দরুণ সভা এবং আর আর মিটিংএ যেতে হয়েছিল । শ্রীরামকৃষ্ণ । মিটিং ইস্কুল এই সব লয়ে একবারে ভুলে গিছলে ! অধর (বিনীত ভাবে ) । আজ্ঞা, সব চাপা পড়ে গিছলো। আপনার হাতটা কেমন আছে ? শ্রীরামকৃষ্ণ । এই দেখে এখনও সারে নাই । প্রতাপের ঔষধ খাচ্ছিলাম । কিয়ৎক্ষণ পরে ঠাকুর হঠাৎ অধরকে বলিতেছেন—“দ্যাখে এ সব অনিত্য । মিটিং ইস্কুল আফিস এ সব অনিত্য । ঈশ্নরই বস্তু আৰুর অনব অবত্ত । সব মন দিয়ে তাকেই আরাধনা করা উচিত ।” অধর চুপ করিয়া আছেন। শ্রীরামকৃষ্ণ । এ সব অনিত্য । শরীর এই আছে এই নাই। তাড়াতাড়ি তাকে ডেকে নিতে হয় * । “তোমাদের সব ত্যাগ করবার দরকার নাই । কচ্ছপের মত সংসারে থাক। কচ্ছপ নিজে জলে চরে বেড়ায় ;---কিন্তু ডিম আড়াতে রাখে,— সব মনটা তার ডিম যেখানে, সেই খানে পড়ে থাকে । “কাপ্তেনের বেশ স্বভাব হয়েছে। যখন পূজা করতে বসে, ঠিক একটী ঋষির মত –এ দিকে কপূরের আরতি ; সুন্দর স্তব পাঠ করে। পূজা করে যখন উঠে, চক্ষে যেন পিপড়ে কামড়েছে ! আর সবর্বদ গীতা ভাগবত এ সব পাঠ করে। আমি দু একটা ইংরাজী কথা কয়েছিলাম,—তা রাগ কল্লে। বলে—ইংরাজী পড়া লোক ভ্ৰষ্টাচারী। কিয়ৎক্ষণ পরে অধর অতি বিনীত ভাবে বলিতেছেন-— “আপনার আমাদের বাড়ীতে অনেক দিন যাওয়া হয় নাই । “বৈঠকখানা ঘরে গন্ধ হয়েছিল—আর-–যেন সব অন্ধকার ! ভক্তের এই কথা শুনিয়া ঠাকুরের স্নেহ-সাগর যেন উথলিয়া উঠিল। তিনি হঠাৎ দণ্ডায়মান হইয় ভাবে অধর ও মাস্টারের মস্তক অধর কয়েক মাস পরেই দেহত্যাগ করিলেন।