পাতা:শ্রীশ্রীরামকৃষ্ণ কথামৃত চতুর্থ ভাগ.djvu/১৩৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দক্ষিণেশ্বর। সুরেন্দ্র, গোপাল, বিজয় প্রভৃতি ভক্তগণ সঙ্গে । ১০৯ তৃতীয় পরিচ্ছেদ । বিজয়াদি ভক্তসঙ্গে সংকীৰ্ত্তনানন্দে। সহচরীর গৌরাঙ্গসন্ন্যাস গান। কীৰ্ত্তনী গৌরসন্ন্যাস গাইতেছেন ও মাঝে মাঝে আখির দিতেছেন— ( নারী হেরবে না ! ) ( সে যে সন্ন্যাসীর ধৰ্ম্ম! ) ( জীবের দুঃখ ঘুচাইতে, ) ( নারী হেরিবে না । ) ( নইলে বৃথা গেীর অবতার ! ) ঠাকুর গৌরাঙ্গের সন্ন্যাসকথা শুনিতে শুনিতে দণ্ডায়মান হইয়া সমাধিস্থ হইলেন। অমনি ভক্তেরা গলায় পুষ্পমালা পরাইয়া দিলেন! ভবনাথ, রাখাল ঠাকুরকে ধারণ করিয়া আছেন-–পাছে পড়িয় যান । ঠাকুর উত্তরাস্ত ; বিজয়, কেদার, রাম, মাষ্টার, মনমোহন, লাটু প্রভৃতি ভক্তেরা মণ্ডলাকার করিয়া তাহাকে ঘেরিয়া দাড়াইয়া আছেন। সাক্ষাৎ গৌরাঙ্গ কি আসিয়া ভক্তসঙ্গে হরিনাম-মহোৎসব করিতেছেন । শ্ৰীকৃষ্ণই অখণ্ড সচ্চিদানন্দ—আবার জীবজগৎ—সরাষ্ট্র বিরাষ্ট্ৰ। ] অল্পে অল্পে সমাধি ভঙ্গ হইতেছে । ঠাকুর সচ্চিদানন্দ কৃষ্ণের সহিত কথা কহিতেছেন । ‘কৃষ্ণ’এই কথা এক এক বীর উচ্চারণ করিতেছেন। আবার এক এক বার পারিতেছেন না । বলিতেছেন, কষও ! কষও ! কক্ষপ্ত । কষ৪ ! আনচিচদানন্দ —কই তোমার রূপ আজকাল দেখি না! এখন তোমায় অন্তরে বাহিরে দেখছি!—জীব, জগৎ, চতু র্বিংশতি তত্ত্ব, সবই তুমি ! মন, বুদ্ধি, সবই তুমি ! গুরুর প্রণামে আছে— “অখণ্ডমণ্ডলাকারং ব্যাপ্তং যেন চরাচরম্। তৎপদং দর্শিতং যেন তস্মৈ শ্ৰীগুরবে নমঃ ॥” তুমিই অখণ্ড—তুমিই আবার চরাচর ব্যাপ্ত করে রয়েছ! তুমিই আধার, তুমিই আধেয়। প্রাণকৃষ্ণ ! মলকৃষ্ণ ! বুদ্ধিকৃষ্ণ ! আত্মাকৃষ্ণ ! প্রাণ হে গোবিন্দ মম জীবন ! বিজয়ও আবিষ্ট হইয়াছেন। ঠাকুর বলিতেছেন, বাবু, তুমিও কি বেহু'স হয়েছ ? বিজয় ( বিনীতভাবে ) । আজ্ঞা না । কীৰ্ত্তনী আবার গাহিতেছেন—“আঁধল প্রেম | কীৰ্ত্তনী যাই আঁখির দিলেন—‘সদাই হিয়ার মাঝে রাখিতাম, ওহে প্রাণবঁধু হে! ঠাকুর আবার সমাধিস্থ –ভবনাথের কাধে ভাঙ্গ হাতট রহিয়াছে !