পাতা:শ্রীশ্রীরামকৃষ্ণ কথামৃত চতুর্থ ভাগ.djvu/১৫৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

> २8 শ্ৰীশ্রীরামকৃষ্ণকথামৃত । [ 1884, 3rd July. দক্ষিণেশ্বরে প্রায় এসে থাকৃত। বশিষ্ঠাশ্রমে যাবার ভারি ইচ্ছা,— সেখানে তপস্যা করবে। যাবার কথা আমাকে প্রায় বলত। আমি তাকে সেখানে যেতে বারণ করলাম।—তখন বলে ‘কোন দিন মরে যাব, সাধন কবে করব—ডুব কি কব ফাট, যায়গা ! অনেক জেদাজেদির পর আমি যেতে বল্লাম । “শুনতে পাই, কেউ কেউ বলে, নারায়ণ শাস্ত্রী নাকি শরীর ত্যাগ করেছে, তপস্যা করবার সময় ভৈরবে নাকি চড় মেরেছিল। আবার কেউ কেউ বলে, “বেঁচে আছে,—এই আমরা তাকে রেলে তুলে দিয়ে এলাম ।’ “কেশব সেনকে দেখবার আগে নারা’ণ শাস্ত্রীকে বল্লুম, তুমি একবার যাও, দেখে এস কেমন লোক। সে দেখে এসে বল্লে, লোকটা জপে সিদ্ধ। সে জ্যোতিষ জানতো—বল্লে, ‘কেশব সেনের ভাগ্য ভাল । আমি সংস্কৃতে, সে ভাষায় ( বাঙ্গালায় ) কথা কইল । “তখন আমি হৃদেকে সঙ্গে করে বেলঘরের বাগানে গিয়ে দেখলাম। দেখেই বলেছিলাম, ‘এরই ন্যাজ খসেছে,—ইনি জলেও থাকতে পারেন, ড্যাঙ্গাতেও থাকতে পারেন ।” “আমাকে পরোখ, করবার জন্য তিন জন ব্ৰহ্মজ্ঞানী ঠাকুরবাড়ীতে পাঠিয়েছিল। তার ভিতর প্রসন্নও ছিল। রাত দিন আমায় দেখবে, দেখে কেশবের কাছে খবর দিবে। আমার ঘরের ভিতর রাত্রে ছিল,—— কেবল 'দয়াময়, দয়াময় করতে লাগল,--আর আমাকে বলে “তুমি কেশব বাবুকে ধর, তা হলে তোমার ভাল হবে। আমি বল্লাম, ‘আমি সাকার মানি |’ তবুও দয়াময়’ ‘দয়াময় করে । তখন আমার একটা অবস্থা হল । হয়ে বল্লাম, এখান থেকে যা ! ঘরের মধ্যে কোন মতে থাকতে দিলাম না । তারা বারাণ্ডায় গিয়ে শুয়ে রইল । “কপ্তেনও যে দিন আমায় প্রথম দেখল, সেদিন রাত্রে রয়ে গেল । [ মাইকেল মধুসূদন নারা’ণ শাস্ত্রীর সহিত কথা । ] “নারায়ণ শাস্ত্রী যখন ছিল, মাইকেল এসেছিল। মথুর বাবুর বড়

  • শ্ৰীমধুসুদন কবি—জন্ম সাগরদাড়ী ১৮২৪ ; ইংলণ্ডে অবস্থিতি ১৮৬২-৬৭ ; দেহত্যাগ, ১৮৭৩ । ঠাকুরকে দর্শন ১৮৬৮র পরে হইবে ।