পাতা:শ্রীশ্রীরামকৃষ্ণ কথামৃত চতুর্থ ভাগ.djvu/১৫৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

>ミや 6. শ্ৰীশ্রীরামকৃষ্ণকথামৃত । [ 1884, 3rd July. “যা ! এখান থেকে চলে যা !—তোকে ছুতে আমার গা কেমন কচ্ছে !” কৰ্ত্তাভজা চন্দ্র (চাটুয্যে ) আসিয়াছেন। বয়ঃক্রম ষাট পয়ষট্টি। মুখে কেবল কৰ্ত্তাভজাদের শ্লোক। ঠাকুরের পদসেবা করিতে যাইতেছেন। ঠাকুর পা স্পর্শ করিতে দিলেন না । হাসিয়া বলিলেন, *এখন তো বেশ হিসাবি কথা বলছে !’ ভক্তেরা হাসিতে লাগিলেন। এইবার ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণ বলরামের অন্তঃপুরে শ্ৰীশ্ৰীজগন্নাথ দৰ্শন করিতে যাইতেছেন। অন্তঃপুরে স্ত্রীলোক ভক্তেরা তাহাকে দর্শন করিবার জন্য ব্যাকুল হইয়া আছেন। ঠাকুর আবার বৈঠকখানায় আসিয়াছেন । সহাস্তবদন। বলিলেন, “আমি পায়খানার কাপড় ছেড়ে জগন্নাথকে দর্শন করলাম । আর একটু ফুল টুল দিলাম। “বিষয়ীদের পূজা, জপ, তপ, যখনকার তখন। যারা ভগবান বই জানে না, তারা নিশ্বাসের সঙ্গে তার নাম করে । কেউ মনে মনে সৰ্ব্বদাই ‘রাম, ওঁ রাম, জপ করে। জ্ঞানপথের লোকেরাও ‘সোহহং জপ করে। কারও কারও সৰ্ব্বদাই জিহবা নড়ে । “সনকৰ দাই স্মরণ মনল থাকা উচিত । ● চতুর্থ পরিচ্ছেদ। বলরামের বাড়ী, শশধর প্রভৃতি ভক্তগণ । ঠাকুরের সমাধি। ] শ্ৰীযুক্ত শশধর দু একটী বন্ধুসঙ্গে ঘরে প্রবেশ করিলেন ও ঠাকুরকে প্রণাম করিয়া উপবিষ্ট হইলেন। শ্রীরামকৃষ্ণ ( সহাস্তে ) বলিতেছেন,—আমরা সকলে বাসরশয্যা জেগে আছি—-কখন বর আসবে। পণ্ডিত হাসিতেছেন। ভক্তের মজলিস্। বলরামের পিতাঠাকুর উপস্থিত আছেন। ডাক্তার প্রতাপও আসিয়াছেন। ঠাকুর আবার কথা কহিতেছেন । ত্রীরামকৃষ্ণ ( শশধরের প্রতি)। জ্ঞানের চিহ্ন, প্রথম, শান্ত স্বভাব ; দ্বিতীয়, অভিমানশূন্য স্বভাব। তোমার দুই লক্ষণই আছে।