পাতা:শ্রীশ্রীরামকৃষ্ণ কথামৃত চতুর্থ ভাগ.djvu/১৯৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দক্ষিণেশ্বর । অধর হাজরা প্রভৃতি ভক্তসঙ্গে । ››ዊ ( বরদা ? ) সববাই আমার সঙ্গে তর্ক করছে, দেখে—কেবল হাসে । আর বলে এর সঙ্গে আবার তর্ক ! কেশব সেনের ওখানে আর একবার তাকে দেখলাম-–কিন্তু তেমন চেহারা নাই । রাম চক্রবর্তী—বিষ্ণুঘরের পূজারী—ঠাকুরের ঘরে আসিলেন। ঠাকুর বলিতেছেন-—‘ছাখে রাম ! তুমি কি দয়ালকে বলেছ মিছরির কথা ? না-না ও আর বলে কাজ নাই। অনেক কথা হয়ে গেছে।” ঠাকুরের রাত্রের আহার । সকলের জিনিস খেতে পারি না । ] রাত্রে ঠাকুরের আহার একখানি দুখানি মা কালীর প্রসাদী লুচি ও একটু সুজির পায়েস । ঠাকুর মেজেতে আসনে সেবা করিতে বসিয়াছেন। কাছে মাষ্টার বসিয়া আছেন, লাটু ও ঘরে আছেন। ভক্তেরা সন্দেশাদি মিষ্টান্ন আনিয়াছিলেন । সন্দেশ একটা স্পর্শ করিয়া ঠাকুর লাটুকে বলিতেছেন-–“এ কোন শালার সন্দেশ ?—বলিয়াই সুজির পায়েসের বাট হইতে নীচে ফেলিয়া দিলেন । ( মাষ্টার ও লাটুর প্রতি ) ‘ও আমি সব জানি। ঐ আনন্দ চাটু্যদের ছোকরা এনেছে—যে ঘোষপাড়ার মাগীর কাছে যায় । , লাটু বলিতেছেন, এ গজা দিব ? শ্রীরামকৃষ্ণ। কিশোরী এনেছে। লাটু। এ আপনার চলবে ? শ্রীরামকৃষ্ণ ( সহাস্তে ) ৷ ই । মাষ্টার ইংরাজী পড়া লোক। ঠাকুর তাহাকে বলিতেছেন। শ্রীরামকৃষ্ণ । সকলের খেতে পারি না । তুমি এ সব মানে ? মাষ্টার—‘আজ্ঞা, ক্রমে সব মানতে হবে।’ শ্রীরামকৃষ্ণ—‘ই ’ ঠাকুর পশ্চিমের দিকের গোল বারান্দাটতে হাত ধুইতে গেলেন। মাষ্টার হাতে জল ঢালিয়া দিতেছেন। শরৎকাল । চন্দ্র উদয় হওয়াতে নিৰ্ম্মল আকাশ ও ভাগীরথীবক্ষ ঝকমক করিতেছে। ভাটা পড়িয়াছে—ভাগীরথী দক্ষিণবাহিনী। মুখ ধুইতে ধুইতে মাষ্টারকে বলিতেছেন—তবে নারাণকে টাকাটা দেবে মাষ্টার বলিতেছেন—“যে আজ্ঞা—দেবো বইকি । শ্ৰীশ্রীরামকৃষ্ণকথামৃত, চতুর্থভাগ, অষ্টাদশখণ্ড সমাপ্ত ।