পাতা:শ্রীশ্রীরামকৃষ্ণ কথামৃত চতুর্থ ভাগ.djvu/২৪০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দক্ষিণেশ্বর। মণিমল্লিক প্রভৃতি ভক্তসঙ্গে । ミ>> শ্রীরামকৃষ্ণের কাঞ্চনত্যাগ । করিরাজের পাঁচ টাকা প্রত্যপণ । ] “সিতির মহেন্দ্র ( কবিরাজ ) রামলালের কাছে পাঁচটা টাকা দিয়ে গিছলো—আমি জানতে পারি নাই । ‘রামলাল বল্লে পর, আমি জিজ্ঞাস করলাম, কাকে দিয়াছে ? সে বল্লে, এখানকার জন্য । আমি প্রথমটা ভাব লুম, দুধের দেন আছে, না হয় সেইটে শোধ দেওয়া যাবে । ও মা ! খানিক রাত্রে ধড়মড় করে উঠে পড়েছি । বুকে যেন বিল্লি আঁচড়াচ্ছে । রামলালকে তখন গিয়ে আবার জিজ্ঞাসা করলুম—তোর খুড়ীকে কি দিয়েছে ? সে বল্লে না । তখন তাকে বল্লাম, তুই এক্ষণই ফিরিয়ে দিয়ে আয় । রামলাল তার পর দিন টাকা ফিরিয়ে দিলে । “সন্ন্যাসীর পক্ষে টাকা লওয়া বা লোভে আসক্ত হওয়া কিরূপ, জানো ? যেমন ব্রাহ্মণের বিধবা অনেক কাল হবিষ্ণু খায়, ব্রহ্মচৰ্মা করে, বাগদী উপপতি করেছিল ! ( সকলে স্তম্ভিত ) “ও দেশে ভগী তেলীর অনেক শিষ্য সামন্ত হলো । শূদ্রকে সববাই প্রণাম করে দেখে, জমাদার একটা দৃষ্ট লোক লাগিয়ে দিলে। সে তার ধৰ্ম্ম নষ্ট করে দিলে পতিত সন্ন্যাসী সেইরূপ । সাধুসঙ্গের পর শ্রদ্ধা । কেশব সেন ও বিজয়কৃষ্ণ গোস্বামী । ] “তোমরা সংসারে তাছ, তোমাদের সৎসঙ্গ (সাধুসঙ্গ ) দরকার । “আগে সাধুসঙ্গ, তার পর শ্রদ্ধা । সাধুরা যদি তার নামগুণানুকীৰ্ত্তন না করে, তা হ’লে কেমন করে লোকের ঈশ্বরে শ্রদ্ধা, বিশ্বাস ভক্তি হবে ? তিন পুরুষে আমীর জানলে তবে তো লোকে মানবে ? (মাষ্টারের প্রতি ) জ্ঞান হলেও সর্বদা অনুশীলন চাই। ন্যাংট বলতে, ঘটি এক দিন মাজলে কি হবে—ফেলে রাখলে আবার কলঙ্ক পড়বে। “তোমার বাড়ীটায় একবার যেতে হবে । তোমার আডডাটা জানা থাকলে, সেখানে আরও ভক্তদের সঙ্গে দেখা হবে। ঈশানের কাছে একবার যাবে। সাধন ভজন সব মাটি হয়ে গেলে ।