পাতা:শ্রীশ্রীরামকৃষ্ণ কথামৃত চতুর্থ ভাগ.djvu/২৫৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দক্ষিণেশ্বর। হাজরা, বড়কালী প্রভৃতি ভক্তসঙ্গে। ২২৯ বড় কালী ( হাজরার প্রতি ) ৷ তুমি যে কষ্টি পাথর হয়ে, কে ভাল সোণা কে মন্দ সোণা, পরখ করে করে বেড়াও—পলের নিন্দ ত৷ কল বেsল ? হাজরা । যা বলতে হয়, ওঁর কাছেই বলছি। শ্রীরামকৃষ্ণ । তা বটে । হাজরা তত্ত্বজ্ঞান মানে ব্যাখ্যা করিতেছেন । হাজরা । তত্ত্বজ্ঞান মানে কি,—ন চবিবশ তত্ত্ব আছে, এইট জানা । একজন ভক্ত । চবিবশ তত্ত্ব কি কি ? হাজরা। পঞ্চভূত, ছয়রিপু, পাঁচটা জ্ঞানেন্দ্রিয়—পাঁচটা কৰ্ম্মেন্দ্রিয়, এই সব । মাষ্টার (ঠাকুরকে সহাস্তে ) ৷ ইনি বলছেন, ছয় রিপু, চবিবশ তত্ত্বের ভিতরে ! শ্রীরামকৃষ্ণ ( সহাস্তে ) ! ঐ দ্যাখে না। তত্ত্বজ্ঞানের মানে কি করছে, আবার দ্যাখে । তত্ত্বজ্ঞান মানে আতীজজ্ঞান ! তৎ মানে পরমাত্মা, ত্বং মানে জীবাত্মা । জীবাত্মা আর পরমাত্মা এক জ্ঞান হলে তত্ত্বজ্ঞান হয় । হাজরা কিয়ৎক্ষণ পরে ঘর হইতে বারান্দায় গিয়া বসিলেন । শ্রীরামকৃষ্ণ ( মাষ্টার প্রভৃতিকে ) । ও কেবল তর্ক করে । এই একবার বেশ বুঝে গেল—আবার খানিক পরে যেমন তেমনি ! “বড় মাছ জোর করছে দেখে আমি সূতো ছেড়ে দিই। তা ন৷ হলে সূতো ছিড়ে ফেলবে, আর যে ধরেছে, সে শুদ্ধ জলে পড়বে ! আমি তাই আর কিছু বলি না। [ হাজরা ও মুক্তি ও ষড়ৈশ্বৰ্য্য । মলিন ও অহৈতুকী ভক্তি । ] শ্রীরামকৃষ্ণ ( মাষ্টারকে ) । হাজরা বলে, ‘ব্রাহ্মণ শরীর না হলে মুক্তি হয় না। আমি বল্লাম, সে কি ! ভক্তি দ্বারাই মুক্তি হবে । শবরী ব্যাধের মেয়ে, রুহিদাস যার খাবার সময় ঘণ্টা বাজতে —এর সব শূদ্র । এদের ভক্তিদ্বারাই মুক্তি হয়েছে ! হাজরা বলে তবু ।