পাতা:শ্রীশ্রীরামকৃষ্ণ কথামৃত চতুর্থ ভাগ.djvu/২৭৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

૨88 àääts-Fotos [ 1884, 5th October. ঠাকুর প্রেমোন্মত্ত হইয়া নৃত্য করিতেছেন। নীলকণ্ঠ ও ভক্তগণ তাহাকে বেড়িয়া বেড়িয়া গান গাইতেছেন ও নৃত্য করিতেছেন । গান—শিব শিব। এই গানের সঙ্গেও ঠাকুর ভক্তসঙ্গে নৃত্য করিতে লাগিলেন। গান সমাপ্ত হইল । ঠাকুর নীলকণ্ঠকে বলিতেছেন,—আমি আপনার সেই গানটী শুনবো, কলকাতায় যা শুনেছিলাম । মাষ্টার । শ্ৰীগৌরাঙ্গ সুন্দর, নব নটবর, তপতকাঞ্চনকায় । শ্রীরামকৃষ্ণ । হা, হুঁ । নীলকণ্ঠ গাইতেছেন—(শ্ৰীকথামৃত, চতুর্থ ভাগ, ৪৫ পৃষ্ঠা ) গান—শ্ৰীগৌরাঙ্গসুন্দর, নবনটবর, তপতকাঞ্চনকায় ॥ ‘প্রেমের বন্যে ভেসে যায়”—এই ধুয়া ধরিয়া ঠাকুর নীলকণ্ঠাদি ভক্তসঙ্গে আবার নাচিতেছেন। সে অপূৰ্ব্ব নৃত্য যাহারা দেখিয়াছিলেন, তাহার কখনই ভুলিবেন না। ঘর লোকে পরিপূর্ণ, সকলেই উন্মত্তপ্রায় ! ঘরট যেন শ্রীবাসের আঙ্গিনা হইয়াছে ! শ্ৰীযুক্ত মনোমোহন ভাবাবিষ্ট হইলেন । র্তাহার বাটীর কয়েকটি মেয়ে আসিয়াছেন ; তাহারা উত্তরের বারাণ্ড হইতে এই অপূর্ব নৃত্য ও ংকীৰ্ত্তন দর্শন করিতেছেন। তাহাদের মধ্যেও একজনের ভাব হইয়াছিল । মনোমোহন ঠাকুরের ভক্ত ও শ্রীযুক্ত রাখালের সম্বন্ধী । ঠাকুর আবার গান ধরিলেন— গান—যাদের হরি বলিতে নয়ন ঝুরে,তারা তারা দুভাই এসেছে রে! সংকীৰ্ত্তন করিতে করিতে ঠাকুর নীলকণ্ঠাদি ভক্তসঙ্গে নৃত্যু করিতেছেন ও অtখর দিতেছেন--- “রাধার প্রেমে মাতোয়ারা, তারা তারা দু ভাই এসেছে রে !” উচ্চ সংকীৰ্ত্তন শুনিয়া চতুর্দিকের লোক আসিয়া জমিয়াছে। দক্ষিণের, উত্তরের ও পশ্চিমের গোল বারাণ্ডায়, সব লোক দাড়াইয়া । যাহার নৌকা করিয়া যাইতেছেন, তাহারাও এই মধুর সংকীৰ্ত্তনের শব্দ শুনিয়া আকৃষ্ট হইয়াছেন । কীৰ্ত্তন সমাপ্ত হইল । ঠাকুর জগন্মাতাকে প্রণাম করিতেছেন ও