পাতা:শ্রীশ্রীরামকৃষ্ণ কথামৃত চতুর্থ ভাগ.djvu/৩১২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দক্ষিণেশ্বর। রাখাল, মাষ্টার, মহিমা প্রভৃতি ভক্তসঙ্গে। ২৮৩ চতুর্থ পরিচ্ছেদ। মহিমাচরণের ব্রহ্ম চক্র । পূৰ্ব্বকথা—তোতাপুরীর উপদেশ । [ ‘স্বপ্নে দর্শন কি কম ? নরেন্দ্রের ঈশ্বরীষ রূপ দর্শন । ] রাত নয়টা হইল । ঠাকুর ছোট খাটটিতে বসিয়া আছেন। মহিমাচরণের সাধ—ঘরে ঠাকুর থাকিবেন—ব্রহ্মচক্র রচনা করিবেন । তিনি রাখাল, মাষ্টার, কিশোরী ও আর দু একটা ভক্তকে লইয়া মেজেতে চক্র করিলেন । সকলকে ধ্যান করিতে বলিলেন । ব্লtখালের ভাবাবস্থা হইয়াছে। ঠাকুর নামিয়া আসিয় তাহার বুকে হাত দিয়া মার নাম করিতে লাগিলেন । রাখালের ভাব সম্বরণ হইল । রাত একটা হইবে । আজ কৃষ্ণপক্ষের চতুর্দশী তিথি । চতুদিকে নিবিড় অন্ধকার । দু একটা ভক্ত গঙ্গার পোস্তার উপর একাকী বেড়াইতেছেন । ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণ একবার উঠিয়াছেন । তিনিও বাহিরে আসিলেন ও ভক্তদের বলিতেছেন, দ্যাংটা বলতে, ‘এই সময়ে —এই গভীর রাত্রে—তমনাহত শবদ শোনা যায় ।” শেষ রাত্রে মহিমাচরণ ও মাষ্টার ঠাকুরের ঘরেই মেজেতে শুইয়। আছেন । রাখtলও ক্যাম্প খাটে শুইয়াছেন ; ঠাকুর পাঁচ বছরের ছেলের ন্যায় দিগম্বর হইয়া মাঝে মাঝে ঘরের মধ্যে পাদচারণ করিতেছেন । & প্রত্যুষ হইল। ঠাকুর মার নাম করিতেছেন। পশ্চিমের বারাণ্ডায় গিয়া গঙ্গা দর্শন করিলেন। ঘরের মধ্যস্থিত দেবদেবীর যত পট ছিল, কাছে গিয়া নমস্কার করিলেন । ভক্তেরা শয্যা হইতে উঠিয়া প্রণামাদি করিয়া প্রাতঃকৃত্য করিতে গেলেন । ঠাকুর পঞ্চবটীতে একটা ভক্তসঙ্গে কথা কহিতেছেন। তিনি স্বপ্নে চৈতন্যদেবকে দর্শন করিয়াছিলেন । শ্রীরামকৃষ্ণ ( ভাববিষ্ট হইয়া ) । আহা ! আহা ! ভক্ত। আজ্ঞ, ও স্বপনে। শ্রীরামকৃষ্ণ স্বপন কি কম! ঠাকুরের চক্ষে জল । গদ গদ স্বর !