পাতা:শ্রীশ্রীরামকৃষ্ণ কথামৃত চতুর্থ ভাগ.djvu/৩২২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দক্ষিণেশ্বরে ৩/জন্মাস্টমদিবসে ভক্ত-সঙ্গে । ミふ○ হইতে একটা বৈষ্ণব, ক্রমে ক্রমে আসিয়া জুটলেন। রাখাল, লাটু আজ কাল থাকেন । একট পঞ্জাবী সাধু পঞ্চবটীতে কয়দিন রহিয়াছেন। ছোট নরেনের কপালে একটা আব আছে । ঠাকুর পঞ্চবটীতে বেড়াইতে বেড়াইতে বলিতেছেন, ‘তুই আবটা কাট না, ও ত গলায় নয় —মাথায় । ওতে আর কি হবে—লোকে একশিরা কাটাচ্ছে । (হাস্য) । পঞ্জাবী সাধুটী উদ্যানের পথ দিয়া যাইতেছেন । ঠাকুর বলিতেছেন —আমি ওকে টানি না । জ্ঞানীর ভাব । দেখি যেন শুকনে কাঠ ! ঘরে ঠাকুর ফিরিয়াছেন । শ্যামাপদ ভট্টাচার্য্যের কথা হইতেছে। বলরাম । তিনি বলেছেন যে, নরেন্দ্রের যেমন বুকে পা দিয়ে ( ভাবাবেশ ) হয়েছিলো, কষ্ট আমার ত তা হয় নাই ! শ্রীরামকৃষ্ণ । কি জান, কামিনীকাথওনে মন থাকলে ছড়াল মল কুড়াল দাক্স ওর সালিসী করতে হয়, বলেছে। আবার বাড়ীর ছেলেদের বিষয় ভাব তে হয় । নরেন্দ্রাদির মন ত ছড়ানো নয় – ওদের ভিতর এখনো কামিনীকাঞ্চন ঢোকে নাই । “কিন্তু ( শ্যামাপদ ) খুব লোক ! কাটোয়ার বৈষ্ণব ঠাকুরকে প্রশ্ন করিতেছেন । বৈষ্ণবটী একটু ট্যারা । [জন্মান্তরের খপর । ভক্তি লাভের জন্যই মানুষজন্ম ।] বৈষ্ণব । ম’শয়, আবার জন্ম কি হয় ? শ্রীরামকৃষ্ণ । গীতায় আছে, মৃত্যুসময় যে যা চিন্ত করে দেহত্যাগ করবে, তার সেই ভাব লয়ে জন্মগ্রহণ করতে হয় । হরিণকে চিন্তা করে ভরত রাজার হরিণ-জন্ম হয়েছিল । বৈষ্ণব । এটী যে হয়, কেউ চোখে দেখে বলে ত বিশ্বাস হয়। শ্রীরামকৃষ্ণ । তা জানি না বাপু । আমি নিজের ব্যামে। সারাতে পারছি না—আবার মলে কি হয় ! “তুমি যা বলছে। এ সব হানবুদ্ধির কথা । ঈশ্বরে কিসে ভক্তি হয়, এই চেষ্টা করে । ভক্তিলাভের জম্বাই মানুক্ৰ হক্সে জন্মেছ । বাগানে আম খেতে এসেছ, কত হাজার ডাল, কত লক্ষ পাতা, এ সব খপরে কাজ কি ? জন্মজন্মান্তরের খপর !