পাতা:শ্রীশ্রীরামকৃষ্ণ কথামৃত চতুর্থ ভাগ.djvu/৩৬১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৩৩২ - àääingsooty's [ 1886, 11th March. শ্রীরামকৃষ্ণ ( নরেন্দ্রের প্রতি ) ৷ ব্ৰহ্ম আলেপ । তিন গুণ র্তাতে আছে, কিন্তু তিনি নির্লিপ্ত । “যেমন বায়ুতে সুগন্ধ দুৰ্গন্ধ দুই-ই পাওয়া যায়, কিন্তু বায়ু নির্লিপ্ত। "কাশীতে শঙ্করাচার্য্য পথ দিয়ে যাচ্ছিলেন । চণ্ডাল মাংসের ভার নিয়ে যাচ্ছিল—হঠাৎ ছুয়ে ফেল্পে। শঙ্কর বল্লেন, ছুয়ে ফেললি ! চণ্ডাল বল্লে,—ঠাকুর তুমিও আমায় ছোও নাই ! আমিও তোমায় ছুই নাই ! আত্মা নির্লিপ্ত। তুমি সেনই শুদ্ধ আত্মা । “ব্ৰক্ষা তমাদুর মানুন্না । জ্ঞানী মায়া ফেলে দেয় । “মাক্স। আবরণস্বরূপ। এই দেখ এই গামছা আড়াল করলাম,— আর প্রদীপের আলো দেখা যাচ্চে না । ঠাকুর গামছাট আপনার ও ভক্তদের মাঝ খানে ধরিলেন । বলিতেছেন,—“এই দেখ, আমার মুখ আর দেখা যাচ্ছে না। “রামপ্রসাদ যেমন বলেছে—‘মশারি তুলিয়া দেখ— “ভক্ত কিন্তু মায়া ছেড়ে দেয় না। মহামায়ার পূজা করে । শরণাগত হয়ে বলে, ‘মা, পথ ছেড়ে দাও ! তুমি পথ ছেড়ে দিলে তবে ব্রহ্মজ্ঞান হবে ।’ জাগ্রৎ স্বপ্ন, সুষুপ্তি,—এই তিন অবস্থ জ্ঞানীরা উড়িয়ে দেয় । ভক্তরা এ সব অবস্থাই লয়—ম্মতক্ষণ আমি আছে, ততক্ষণ সনবই আছে । “ষতক্ষণ আমি আছে, ততক্ষণ দ্যাখে যে, তিনিই মায়া, জীবজগৎ, চতুৰ্ব্বিংশতি তত্ত্ব সব হয়েছেন । [ নরেন্দ্র প্রভৃতি চুপ করিয়া আছেন। শ্রীরামকৃষ্ণ । মাক্সা বাদ শুকলো । কি বল্লাম, বল দেখি । নরেন্দ্র । শুকনে । ঠাকুর নরেন্দ্রের হাত মুখ স্পর্শ করিতে লাগিলেন । আবার কথা কহিতেছেন—“এ সব ( নরেন্দ্রের সব ) ভক্তের লক্ষণ । জ্ঞানীর সে আলাদা লক্ষণ,—মুখ চেহারা শুকনো হয় । “জ্ঞানী জ্ঞানলাভ করবার পরও বিদ্যামায়া নিয়ে থাকতে পারে— ভক্তি, দয়া, বৈরাগ্য—এই সব নিয়ে থাকতে পারে । এর দুটা উদ্দেশ্য। প্রথম, লোকশিক্ষা হয়, তার পর রসাস্বাদনের জন্ম ।