পাতা:শ্রীশ্রীরামকৃষ্ণ কথামৃত চতুর্থ ভাগ.djvu/৪৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বলরামমন্দিরে । নরেন্দ্র, রাখাল, ভবনাথাদি ভক্তসঙ্গে । ১৭ গান—আমার প্রাণপিঞ্জরের পাখী গাওনা রে । ব্ৰহ্মকল্পতরুপরে বসে রে পাখী, বিভূ গুণ গাও দেখি, ( গাও, গাও ) ; ধৰ্ম্ম অর্থ কাম মোক্ষ, সুপক্ক ফল খাওনা রে । বল বল আত্মারাম, পড় প্রাণারাম, হৃদয়-মাঝে প্রাণ-বিহঙ্গ ডাকো অবিরাম, ডাকো তৃষিত চাতকের মত, পাখী অলস থেকে না রে । গান— বিশ্বভুবন রঞ্জন ব্রহ্ম পরম জ্যোতি । অনাদিদেব জগপতি প্রাণের প্রাণ ॥ গান— ওহে রাজ রাজেশ্বর দেখা দাও । চরণে উৎসর্গ দান, করিতেছি এই প্রাণ, ংসার অনলকুণ্ডে ঝলসি গিয়াছে তাও । কলুষ কলঙ্কে তাহে, আবরিত এ হৃদয় ; মোহে মুগ্ধ মৃত প্রায়, হয়ে আছি দয়াময়, মৃত সঞ্জীবনী দৃষ্টে, শোধন করিয়ে লও। গান— গগনময় থাল রবিচন্দ্র দীপক জ্বলে (৩য় ভাগ,১৮৪পৃষ্ঠা) গান—চিদাকাশে হলো পূর্ণ প্রেমচন্দ্রোদয় হে। (২য় ভাগ, ১৬৭ পৃষ্ঠ ] নরেন্দ্রের গান সমাপ্ত হইল । ঠাকুর ভবনাথকে গান গাহিতে বলিতেছেন । ভবনাথ গাহিতেছেন- — গান—দয়াঘন তোমা হেন কে হিতকারী ! সুখে দুঃখে সম, বন্ধু এমন কে, পাপ তাপ ভয়হারী। নরেন্দ্র ( সহস্যে ) । এ ( ভবনাথ ) পান মাছ ত্যাগ করেছে । শ্রীরামকৃষ্ণ ( ভবনাথের প্রতি, সহাস্ত্যে )। সে কি রে ! পান মাছে কি হয়েছে ? ওতে কিছু দোষ হয় না । কামিলী কাঞ্চ = ত্যাগই ত্যাগ। রাখাল কোথায় ? এক জন ভক্ত। আজ্ঞা, রাখালঘুমুচ্ছেন । ঠাকুর (সহস্তে ) ৷ এক জন মাছর বগলে করে যাত্রা শুনতে এসেছিল। যাত্রার দেরী দেখে মাদুরট পেতে ঘুমিয়ে পড়লো। যখন উঠলো তখন সব শেষ হয়ে গেছে ! ( সকলের হাস্য )।