পাতা:শ্রীশ্রীরামকৃষ্ণ কথামৃত চতুর্থ ভাগ.djvu/৫৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

・ミb" শ্ৰীশ্রীরামকৃষ্ণকথামৃত । [ 1883, 18th June. পরিক্রমণ ও নৃত্য করিয়া ও শ্রীরাধাকৃষ্ণ বিগ্রহের সম্মুখে প্রণাম করিয়া, গঙ্গাকুলের বাবুদের প্রতিষ্ঠিত শ্ৰীশ্রীরাধা-কৃষ্ণের বাড়ীর দিকে এই তরঙ্গায়িত জনসঙ্ঘ অগ্রসর হইতেছে । । শ্ৰীশ্রীরাধাকৃষ্ণের বাড়ীতে সংকীৰ্ত্তন দলের কিয়দংশ প্রবেশ করিতেছে —অধিকাংশ লোকই প্রবেশ করিতে পারিতেছে না । কেবল দ্বারদেশে ঠেলাঠেলি করিয়া উকি মারিতেছে । [ শ্ৰীশ্রীরাধাকৃষ্ণের আঙ্গিন মধ্যে নৃত্য । ] ঠাকুর শ্ৰীশ্রীরাধাকৃষ্ণের আঙ্গিনায় আবার নৃত্য করিতেছেন । কীৰ্ত্তনানন্দে গগর মাতোয়ারা ! মাঝে মাঝে সমাধিস্থ হইতেছেন। আর চতুর্দিক হইতে পুষ্প ও বাতাস চরণতলে পড়িতেছে। হরিনামের রোল আঙ্গিনার ভিতর মুহুমুহু হইতেছে। সেই ধ্বনি রাজ-পথে পৌঁছিয়া সহস্ৰ কণ্ঠে প্রতিধ্বনিত হইতে লাগিল। ভাগীরথীবক্ষে যে সকল নেীক যাতায়াত করিতেছিল তাহীদের আরোহিগণ অবাক হইয়া এই সমুদ্রকল্লোলের ন্যায় হরিধ্বনি শুনিতে লাগিল ও নিজেরাও "হরিবোল’ ‘হরিবোল’ বলিতে লাগিল । পেনেটর মহোৎসবে সমবেত সহস্ৰ সহস্ৰ নরনারীগণ ভাবিতেছে, এই মহাপুরুষের ভিতর নিশ্চই শ্ৰীগৌরাঙ্গের আবির্ভাব হইয়াছে। দুই এক জন ভাবিতেছে, ইনিই বা সাক্ষাৎ সেই শ্ৰীগৌরাঙ্গ ! ক্ষুদ্র আঙ্গিনায় বহুলোক একত্রিত হইয়াছে। ভক্তেরা অতি সন্তপণে ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণকে বাহিরে আনিলেন। [ শ্ৰী মণি সেনের বৈঠকখানায় শ্রীরামকৃষ্ণ । ] ঠাকুর ভক্তসঙ্গে শ্ৰীযুক্ত মণিসেনের বৈঠকখানায় আসিয়া উপবেশন করিলেন । এই সেন পরিবারদেরই পেনেটীতে শ্রীশ্রীরাধাকৃষ্ণের সেবা । তাহারাই এখন বর্ষে বর্মে মহোৎসবের আয়োজন করিয়া থাকেন ও ঠাকুরকে নিমন্ত্রণ করেন। ঠাকুর একটু বিশ্রাম করিলে পর মণিসেন ও র্তাহীদের গুরুদেব নবদ্বীপ-গোস্বামী ঠাকুরকে কক্ষান্তরে লইয়া গিয়া প্রসাদ আনিয়া সেবা করাইলেন। কিয়ৎক্ষণ পরে রাম, রাখাল, মাষ্টার, ভবনাথ, প্রভৃতি