পাতা:শ্রীশ্রীরামকৃষ্ণ কথামৃত চতুর্থ ভাগ.djvu/৮০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দক্ষিণেশ্বর ঝাউতল । ভক্তসঙ্গে গুরুরূপী শ্রীরামকৃষ্ণ । ৫৩ শ্রীরামকৃষ্ণ ( মণির প্রতি ) । তিনি অবতার হয়ে জ্ঞান ভক্তি শিক্ষা দেন। আচ্ছা, আমাকে তোমার কিরূপ বোধ হয় ? “আমার বাবা গয়াতে গিছলেন। সেখানে রঘুবীর স্বপন দিলেন, আমি তোদের ছেলে হব । বাবা স্বপন দেখে বল্লেন, ঠাকুর, আমি দরিদ্র ব্রাহ্মণ, কেমন করে তোমার সেবা ক’রবো ! রঘুবীর বল্লেন—তা ইয়ে যাবে | “দিদি–হৃদের মা—আমার পা পূজা করতো, ফুল চন্দন দিয়ে। এক দিন তার মাথায় পা দিয়ে ( মা ) বল্লে, তোর কাশীতেই মৃত্যু হবে। “লেজে বাবু বল্লে, বাবা, তোমার ভিতরে আর কিছু নাই,-—সেই ঈশ্বরই আছেন । দেহটা কেবল খোল মাত্র,—যেমন বাহিরে কুমড়োর আকার কিন্তু ভিতরে শাস বীচি কিছুই নাই। তোমায় দেখলাম যেন ঘোমটা দিয়ে কেউ চলে যা চ্ছে । “আগে থাকতে সব দেখিয়ে দেয় । বটতলায় ( পঞ্চবটতলায় ) গৌরাঙ্গের সঙ্কীৰ্ত্তনের দল দেখেছিলাম। তার ভিতর যেন বলরামকে দেখেছিলাম ;– আর যেন তোমায় দেখেছিলাম । “গৌরাঙ্গের ভাব জানতে চেয়েছিলাম। ও দেশে-—শ্যামবাজারে —দেখালে । গাছে পাচলে লোক,—রাতদিন সঙ্গে সঙ্গে লোক ! সাত দিন হাগ বার জে ছিল না । তখন বল্লাম, মা আর কাজ নাই ! “তাই এখন শান্ত । অার একবার আসনতে হবে । তাই পার্ষদদের সব জ্ঞান দিচ্ছি না । ( সহাস্তে ) তোমাদের যদি সব জ্ঞান দিই—তা হলে তোমরা আর সহজে আমার কাছে আস্বে কেন ? “তোমায় চিনিছি—তোমার চৈতন্য-ভাগবত পড়া শুনে। তুমি আপনার জন—এক সত্ত—যেমন পিতা আর পুত্র । এখানে সব আসছে,— যেন কলমির দল,—এক যায়গায় টানলে সবটা এসে পড়ে। পরস্পর সব আত্মীয়,-—যেমন ভাই ভাই । জগন্নাথে রাখাল হরীশ টরশে গিয়েছে, আর তুমিও গিয়েছ,–ত কি আলাদা বাসা হবে ? “যত দিন এখানে আস নাই, ততদিন ভুলে ছিলে ; এখন আপনাকে চিন্তে পারবে। তিনি গুরুরূপে এসে জানিয়ে দেন ।