পাতা:শ্রীশ্রীরামকৃষ্ণ কথামৃত তৃতীয় ভাগ.djvu/২৩৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

২২৪ খ্রীরামকৃষ্ণকথামৃত-৩য় ভাগ ( ১৮৮৫, ১২ই এপ্রিল শ্রীরামকৃষ্ণ (ত্ৰৈলোক্য ও অন্যান্য ভক্তদের প্রতি)-ই ই, তা বটে। কিন্তু একটু মদ খেলেই আমাদের নেশা হয়। শুড়ির nেs. কত মদ আছে সে হিসাবে আমাদের কাজ কি অনন্ত শক্তির ap আমাদের কাজ কি ? n গিরিশ (ত্ৰৈলোক্যের প্রতি )—আপনি অবতার মানেন ? ত্ৰৈলোক্য—ভক্ততেই ভগবান অবতীর্ণ। অনন্ত শক্তির manifestation হয় না,—হতে পারে না –কোনও মানুযেই হতে পারে না । * গিরিশ-ছেলেদের ব্রহ্মগোপাল বলে সেবা করতে পারেন, মহাপুরুষকে ঈশ্বর বলে কি পূজা করতে পারা যায় না ? শ্রীরামকৃষ্ণ ( ত্ৰৈলোক্যের প্রতি )—অনন্ত ঢুকুতে চাও কেন ? তোমাকে ছুলে কি তোমার সব শরীরটা ছুতে হবে ? যদি গঙ্গাস্নান করি তা হলে হরিদ্বার থেকে গঙ্গাসাগর পর্যন্ত কি ছুয়ে যেতে হবে ? আমি গেলে ঘুচিবে জঞ্জাল', যতক্ষণ আমিটুকু থাকে ততক্ষণ ভেদ বুদ্ধি। ‘আমি গেলে কি রইল তা কেউ জানতে পারে না,—মুখে বলতে পারে না। যুী আছে তাই আছে! তখন খানিকটা এতে প্রকাশ হয়েছে আর বাদ বাকিটা ওখানে প্রকাশ হয়েছে,—এ সব মুখে বলা যায় না । সচিদানন্দ সাগর –তার ভিতর ‘আমি ঘট । যতক্ষণ ঘট ততক্ষণ যেন ভূভাগ জল,—ঘটের ভিতরে এক ভাগ, বাহিরে একভাগ। ঘট ভেঙ্গে গেলে—এক জল—তাও বলবার যে নাই !—কে বলবে ? বিচারান্তে ঠাকুর ত্ৰৈলোক্যের সঙ্গে মিষ্টীসাপ করিতেছেন। শ্রীরামকৃষ্ণ—তুমি ত আনন্দে আছ ? ত্ৰৈলোক্য—কৈ এখান থেকে উঠলেই আবার যেমন তেমনি হ’য়ে যাব! এখন বেশ ঈশ্বরের উদ্দীপনা হচ্ছে। .