পাতা:শ্রীশ্রীরামকৃষ্ণ কথামৃত তৃতীয় ভাগ.djvu/২৪২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

স্ত্রীরামকৃষ্ণ বলরাম-মন্দিরে গিরিশ প্রভৃতি ভক্তসঙ্গে ২২৭ ঈশ্বরকোটি ও জীবকোটি ] “সংসারে ধৰ্ম্ম ধৰ্ম্ম এরা করছে। যেমন একজন ঘরে আছে,— সব বন্ধ,—ছাদের ফুটে দিয়ে একটু আলো আসছে। মাথার উপর ছাদ থাকলে কি স্বৰ্য্যকে দেখা যায়? একটু আলো এলে কি হবে ? लानिौ-द्रश्न इति ! शत् । t ছাদ তুলে না ফেললে কি সূৰ্য্যকে দেখা যায়। সংসার লোক যেন ঘরের ভিতর বন্দী হয়ে আছে! . . . . “অবতারাদি ঈশ্বরকোটি। তারা ফাকা জায়গায় বেড়াচ্চে। তার কখনও সংসারে বদ্ধ হয় না—বন্দী হয় না। তাদের ‘আমি মোটা ‘আমি নয়-–সংসারী লোকদের মত । সংসারী লোকদের অহঙ্কার, সংসারী লোকদের ‘আমি—যেন চতুর্দিকে পাচিল, মাথার উপর ছাদ ; —বাহিরে কোন জিনিস দেখা যায় না। অবতারাদির ‘আমি পাতলা ‘আমি’। এ আমি’র ভিতর দিয়ে ঈশ্বরকে সৰ্ব্বদা দেখা যায়। যেমন একজন লোক পাচিলের একপাশে দাড়িয়ে আছে—পাচিলের ছুদিকেই অনন্ত মাঠ। সেই পাচিলের গায়ে যদি ফোকর থাকে পাচিলের ওধারে সব দেখা যায়। বড় ফোকর হ'লে আনাগোনাও হয়। অবতারাদির ‘আমি ঐ ফোকরওয়াল পাচিল। পাচিলের এধারে থাকলেও অনন্ত মাঠ দেখা যায় ;–এর মানে, দেহধারণ করলেও তারা সৰ্ব্বদা যোগেতেই থাকে ! আবার ইচ্ছে হ’লে বড় ফোকরের ওধারে গিয়ে সমাধিস্থ হয়। আবার বড় ফোকর হ'লে আনাগোনা । করতে পারে ; সমাধিস্থ হ’লেও আবার নেমে আসতে পারে।” ভক্তেরা অবাক হইয়া অবতারতত্ত্ব শুনিতে লাগিলেন।