পাতা:শ্রীশ্রীরামকৃষ্ণ কথামৃত তৃতীয় ভাগ.djvu/৩৪৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

গ্রীরাধাকৃষ্ণতত্ত্বপ্রসঙ্গে—সব সম্ভাব-নিত্যলীলা । সন্ধ্যা হইয়া গিয়াছে। ঠাকুর স্ত্রীরামকৃষ্ণের ঘরে আলে জলিতেছে" কয়েকটি ভক্ত ও র্যাহারা ঠাকুরকে দেখিতে আসিয়াছেন, তাহার ੱੋ ঘরে একটু দূরে বসিয়া আছেন । ঠাকুর অস্তমুখ–কথা কহিতেছেন । না। ঘরের মধ্যে যাহারা আছেন, তাহারাও ঈশ্বরকে চিন্তা করিতে করিতে মৌনাবলম্বন করিয়া আছেন। কিয়ৎক্ষণ পরে নরেন্দ্র একটি বন্ধুকে সঙ্গে করিয়া আনিলেন। নরেন্দ্র বলিলেন, ইনি আমার বন্ধু, ইনি কয়েকখানি গ্রন্থ রচনা করিয়াছেম, ইনি ‘কিরন্থায়ী লিখেন । কিরমুয়ী' লেখক প্রণাম করিয়া আসন গ্রহণ করিলেন। ঠাকুরের সঙ্গে কথা কহিবেন। নরেন্দ্ৰ—ইনি রাধাকৃষ্ণের বিযয় লিখেছেন । শ্রীরামকৃষ্ণ ( লেখকের প্রতি )—কি লিখেছে গো, বল দেখি । লেখক-রাধাকৃষ্ণই পরব্রহ্ম, ওঁকারের বিন্দুস্বরূপ। সেই রাধাকৃষ্ণ পরব্রহ্ম থেকে মহাবিষ্ণু ; মহাবিষ্ণু থেকে পুরুষ প্রকৃতি,—শিব দুর্গা। শ্রীরামকৃষ্ণ—বেশ ! নিত্যরাধা নন্দঘোষ দেখেছিলেন। প্রেমরাধা বৃন্দাবনে লীলা করেছিলেন, কাম-রাধ চন্দ্রাবলী। “কামরাধা, প্রেমরাধা । আরও এগিয়ে গেলে নিত্যরাধা । প্যাজ ছাড়িয়ে গেলে প্রথম লাল খোসা, তার পরে ঈষৎ লাল, তারপরে সাদা, তার পরে আর খোসা পাওয়া যায় না। ঐট নিত্যরাধার স্বরূপ— যেখানে নেতি নেতি বিচার বন্ধ হয়ে যায় ! “নিত্য রাধাকৃষ্ণ, আর লীলা রাধাকৃষ্ণ । যেমন সূৰ্য্য আর রশ্মি । নিত্য সূর্য্যের স্বরূপ, লীলা রশ্মির স্বরূপ।