পাতা:শ্রীশ্রীরামকৃষ্ণ কথামৃত তৃতীয় ভাগ.djvu/৩৮১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৩৬৬ স্ত্রীরামকৃষ্ণকথামৃত-৩য় ভাগ [ ১৮৮৬, ৯ই এপ্রিল সেই Hydrogen Stz Oxygen fTA Oxyhydrogenblowpipe ( জ্বলন্ত অত্যুষ্ণ অগ্নিশিখা ) উৎপন্ন হয়। “যে অবস্থায় কৰ্ম্ম আর কৰ্ম্মত্যাগ দুইই সম্ভবে, অর্থাৎ নিষ্কাম কৰ্ম্ম । “যারা সংসারী ইন্দ্রিয়ের বিষয় নিয়ে রয়েছে, তারা বলেছে সব “অস্তি ; আবার মায়াবাদীরা বলছে,—'নাস্তি, বুদ্ধের অবস্থা এই অস্তি’ *নাস্তির’ পরে ” শ্রীরামকৃষ্ণ–এ অস্তি নাস্তি প্রকৃতির গুণ । যেখানে ঠিক ঠিক সেখানে অস্তি নাস্তি ছাড়া । ভক্তেরা কিয়ৎক্ষণ সকলে চুপ করিয়া আছেন । ঠাকুর আবার কথা কহিতেচেন । [ বুদ্ধদেবের দয়া ও বৈরাগ্য ও নরেন্দ্র ] শ্রীরামকৃষ্ণ ( নরেন্দ্রের প্রতি ) – ওদের (বুদ্ধদেবের) কি মত ? নরেন্দ্ৰ—ঈশ্বর আছেন কি না আছেন, এ সব কথা বুদ্ধ বলতেন না। তবে দয়া নিয়ে ছিলেন । “একটা বাজ পক্ষী শিকারকে ধরে তাকে খেতে যাচ্ছিল, বুদ্ধ শিকারটির প্রাণ বাচাবার জন্ত নিজের গায়ের মাংস তা’কে দিয়েছিলেন ।” ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণ চুপ করিয়া আছেন। নরেন্দ্র উৎসাহের সহিত বুদ্ধদেবের কথা আরও বলিতেছেন । নরেন্দ্ৰ—কি বৈরাগ্য ! রাজার ছেলে হ’য়ে সব ত্যাগ করলে ! যাদের কিছু নাই—কোনও ঐশ্বৰ্য নাই, তারা আর কি ত্যাগ করবে। “যখন বুদ্ধ হয়ে, নিৰ্ব্বাণ লাভ করে বাড়িতে একবার এলেন, তখন স্ত্রীকে ছেলেকে—রজি বংশের অনেককে—বৈরাগ্য অবলম্বন করতে বললেন । কি বৈরাগ্য ! কিন্তু এ দিকে ব্যাসদেবের আচরণ দেখুন,— শুকদেবকে বারণ করে বলে, পুত্র! সংসার থেকে ধৰ্ম্ম কর।”