পাতা:শ্রীশ্রীরামকৃষ্ণ কথামৃত তৃতীয় ভাগ.djvu/৪৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

২৮ খ্রীরামকৃষ্ণকথামৃত—৩য় ভাগ [ ১৮৮২, ২৪শে আগষ্ট [সাধনা-কামিনী-কাঞ্চনের ঝড়তুফান কাটাইবার জন্য ] স্ত্রীরামকৃষ্ণ-অন্তরে কি আছে জানবার জন্য একটু সাধন চাই । মাষ্টার-সাধন কি বরাবর করতে হয় ? - শ্রীরামকৃষ্ণ-না,-প্রথমটা একটু উঠে পড়ে লাগতে হয়। তার পর আর বেশী পরিশ্রম করতে হবে না। যতক্ষণ ঢেউ, ঝড়, তুফান আর বঁাকের কাছ দিয়ে যেতে হয়, ততক্ষণ মাঝির দাড়িয়ে হাল ধরতে হয়,-সেইটুকু পার হয়ে গেলে আর না। যদি বাক পার হ’ল আর অনুকুল হাওয়া বইল, তখন মাঝি আরাম করে বসে, হালে হাতটা ঠেকিয়ে রাখে,-তারপর পাল টাঙ্গাবার বন্দোবস্ত করে তামাক সাজতে বসে। কামিনী কাঞ্চনের ঝড় তুফান কাটিয়ে গেলে তখন শান্তি । [ ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণ ও যোগতত্ত্ব—যোগভ্রষ্ট-যোগাবস্থা— ‘নিবাতনিষ্কম্পমিব প্রদীপম'-যোগের ব্যাঘাত ] “কারু কারু যোগীর লক্ষণ দেখা যায়। কিন্তু তাদেরও সাবধান হওয়া উচিত । কামিনীকাঞ্চনই যোগের ব্যাঘাত । যোগভ্ৰষ্ট হয়ে সংসারে এসে পড়ে,—হয়ত ভোগের বাসনা কিছু ছিল। সেইগুলো হয়ে গেলে আবার ঈশ্বরের দিকে যাবে,—আবার সেই যোগের অবস্থা । সট্ৰকা কল জান ?” মাষ্টার–আজ্ঞে না—দেখি নাই । শ্রীরামকৃষ্ণ-ও দেশে আছে। বঁশি কুইয়ে রাখে, তাতে বড়শি লাগান দড়ি বাধা থাকে। বড়শিতে টোপ ছেণ্ডয়া হয়। মাছ যেই টোপ খায় অমনি সড়াৎ করে বঁাশটা উঠে পড়ে। যেমন উপরে উচু দিকে বাঁশের মুখ ছিল সেইরূপই হয়ে যায়। “নিক্তি, এক দিকে ভার পড়লে, নীচের কাটা উপরের কাটার সঙ্গে