फूज्रौब्र भब्रिटऋन धैठकक्षबझन्ध्र ट्णन ७ नर्वावधान–नर्वाबथाट्न जान्न स्नाटइ ঠাকুর প্রসাদ গ্রহণান্তর কিঞ্চিৎ বিশ্রাম করিতেছেন। এমন সময় রাম, গিরীন্দ্র ও আর কয়েকটি ভক্ত আসিয়া উপস্থিত। ভক্তেরা ভূমিষ্ঠ হইয়া প্রণাম করিলেন ও তৎপরে আসন গ্রহণ করিলেন। শ্রীযুক্ত কেশবচন্দ্র সেনের নববিধানের কথা পড়িল। রাম (ঠাকুরের প্রতি)—মহাশয়, আমার ত নববিধানে কিছু উপকার হয়েছে বলে বোধ হয় না। কেশববাব যদি খাঁটি হতেন, শিষ্যদের অবস্থা এরপ কেন? আমার মতে, ওর ভিতরে কিছুই নাই। যেমন খোলামকুচি নেড়ে, ঘরে তালা দেওয়া। লোকে মনে ক’চ্চে, খুব টাকা ঝম ঝম কচ্চে, কিন্তু ভিতরে কেবল খোলামকুচি। বাহিরের লোক ভিতরের খবর কিছল জানে না। শ্রীরামকৃষ্ণ—কিছল সার আছে বৈ কি। তা না হলে এত লোকে কেশবকে মানে কেন? শিবনাথকে কেন লোকে চেনে না ? ঈশ্বরের ইচ্ছা না থাকলে এ রকম একটা হয় না। ar “তবে সংসার ত্যাগ না করলে আচাষের কাজ হয় না, লোকে মানে না। লোকে বলে, এ সংসারী লোক, এ নিজে কামিনীকান্টন লুকিয়ে ভোগ করে; আমাদের বলে, ঈশ্বর সত্য, সংসার স্বপ্নবৎ অনিত্য ! সবত্যাগী না হ’লে তার কথা সকলে লয় না। ঐহিক যারা কেউ কেউ নিতে পারে। কেশবের সংসার ছিল, কাজে কাজেই সংসারের উপর মনও ছিল। সংসারটিকে ত রক্ষা কত্তে হবে। তাই অত লেকচার দিয়েছে; কিন্তু সংসারটি বেশ পাকা করে রেখে গেছে। অমন জামাই! বাড়ীর ভিতরে গেলাম, বড় বড় খাট! সংসার করতে গেলে ক্ৰমে সব এসে জোটে। ভোগের জায়গাই সংসার ।” রাম—ও খাট, বাড়ী বখরার সময় কেশব সেন পেয়েছিলেন; কেশব সেনের বখরা। মহাশয়, যাই বলন, বিজয়বাব বলেছেন, কেশব সেন এমন কথা বিজয়বাবকে বলেছেন যে, আমি খসাইলট আর গৌরাঙ্গের অংশ, তুমি বল যে তুমি অবৈত। আবার কি বলে জানেন? আপনিও নববিধানী (ঠাকুরের ও সকলের হাস্য) । শ্রীরামকৃষ্ণ (হাসিতে হাসিতে)—কে জানে বাপ, আমি কিন্তু নববিধান মানে জানি না ! (সকলের হাস্য) । , রাম—কেশবের শিষ্যেরা বলে, জ্ঞান আর ভক্তির প্রথম সামঞ্জস্য কেশববাব করেছেন । r শ্রীরামকৃষ্ণ (অবাক হইয়া)—সে কি গো! অধ্যাত্ম (রামায়ণ) তবে কি ? নারদ রামচন্দ্রকে স্তব করতে লাগলেন, হে রাম বেদে যে পরব্রহ্মের কথা
পাতা:শ্রীশ্রীরামকৃষ্ণ কথামৃত দ্বিতীয় ভাগ.djvu/১১৪
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।