পাতা:শ্রীশ্রীরামকৃষ্ণ কথামৃত দ্বিতীয় ভাগ.djvu/১৪৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১২৮ খ্ৰীশ্রীরামকৃষ্ণকথামত—২য় ভাগ ( ১৮৮৪, ২৬শে সেপ্টেম্বর “সংসারে থাকো, যেমন বড় মানুষের বাড়ীর ঝি। সব কাজ করে, ছেলে মানুষ করে, বাবর ছেলেকে বলে আমার হরি, কিন্তু মনে মনে বেশ জানে, এ বাড়ী আমার নয়, এ ছেলেও আমার নয়। সে সব কাজ করে, কিন্তু তার মন দেশে পড়ে থাকে। তেমনি সংসারে সব কম কর কিন্তু ঈশ্বরের দিকে মন রেখো। আর জেনো যে, গহ, পরিবার, পত্র, এ সব আমার নয়, এ সব তাঁর। আমি কেবল তাঁর দাস। “আমি মনে ত্যাগ ক’ত্তে বলি। সংসার ত্যাগ বলি না। অনাসক্ত হয়ে সংসারে থেকে, আন্তরিক চাইলে, তাঁকে পাওয়া যায়। [utomo e mawso-Yoga Subjective and Objective ) (বিজয়ের প্রতি)—“আমি চক্ষ বজে ধ্যান কত্তম। তারপর ভাবলাম এমন কললে (চক্ষ বজলে) ঈশ্বর আছেন, আর এমন কললে (চক্ষ খুললে) কি ঈশ্বর নাই, চক্ষ খালেও দেখছি, ঈশ্বর সবভুতে রয়েছেন। মানুষ, জীবজন্তু, গাছপালা, চন্দ্রসয" মধ্যে, জলে, পথলে, সবভূতে তিনি আছেন। [श्विबनाथ-वैषङ ८कनाब्र काल्लेटबा ] “কেন শিবনাথকে চাই ? যে অনেক দিন ঈশ্বরচিন্তা করে, তার ভিতর সার আছে। তার ভিতর ঈশ্বরের শক্তি আছে। আবার যে ভাল গায়, ভাল বাজায় কোন একটা বিদ্যা খুব ভাল রকম জানে, তার ভিতরেও সার আছে। ঈশ্বরের শক্তি আছে। এটি গীতার মত* । চণ্ডীতে আছে, যে খুব সন্দের, তার ভিতরও সার আছে, ঈশ্বরের শক্তি আছে। (বিজয়ের প্রতি) আহা ! কেদারের কি সবভাব হয়েছে! এসেই কাঁদে ! চোখ দটি সবদাই যেন ছানাবড়া হয়ে আছে।” বিজয়—সেখানে f কেবল আপনার কথা, আর তিনি আপনার কাছে আসবার জন্য ব্যাকুল ! কিয়ৎক্ষণ পরে ঠাকুর গাত্রোথান করিলেন। ব্রাহ্ম ভক্তেরা নমস্কার করিলেন। তিনিও তাঁহাদিগকে নমস্কার করলেন। ঠাকুর গাড়ীতে উঠিলেন। অধরের বাড়ীতে প্রতিমা দশন করিতে যাইতেছেন।

  • যদযদ্বিভূতিমৎ সত্ত্বং শ্ৰীমদজিতমেব বা। তত্তদেবাবগচ্ছ ত্বং তেজোহংশসম্ভবম্ ॥ { কেদারনাথ চাটয্যে, পরমভক্ত ; তখন সরকারী কাজ উপলক্ষে ঢাকার ছিলেন। শ্ৰীবিজয় গোস্বামী যখন ঢাকায় মাঝে মাঝে যাইতেন, তখন তাঁহার সহিত দেখা হইত। দুজনেই ভক্ত, পরপর দশনে আনন্দ করিতেন।