পাতা:শ্রীশ্রীরামকৃষ্ণ কথামৃত দ্বিতীয় ভাগ.djvu/২৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

عا ১৬ घैटैोब्रामकृककथाञएड-२झ खास्ता [ ১৮৮৩, ১১ই মার্চ সভায় শত সয" যেন উদয় হ’ল। তবে সভাসদ লোকেরা পড়ে গেল না কেন ? তার উত্তর—তাঁর জ্যোতিঃ জড় জ্যোতি নয়। সভাপথ সকলের হৃৎপন্ম প্রসফটিত হ’ল। সয" উঠলে পদ্ম প্রস্ফটিত হয়।” ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণ দাঁড়াইয়া ভক্তদের কাছে এই কথা বলিতেছেন। বলিতে বলিতেই একেবারে বাহারাজ্য ছাড়িয়া মন অন্তৰ্ম্মখে হইল! “হৃৎপন্ন প্রস্ফুটিত হইল” এই কথাটি উচ্চারণ করিতে না করিতে ঠাকুর একেবারে সমাধিস্থ। ঠাকুর সমাধি মন্দিরে। ভগবান দশন করিয়া শ্রীরামকৃষ্ণের হৃৎপন্ম কি প্রসফটিত হইল! সেই একভাবে দণ্ডায়মান। কিন্তু বাহ্যশান্য চিত্রাপিতের ন্যায়। শ্ৰীমুখ উক্তজবল ও সহাস্য। ভক্তেরা কেহ দাঁড়াইয়া কেহ বসিয়া ; অবাক ; একদটে এই অদ্ভুত প্রেম রাজ্যের ছবি, এই অদভটপব সমাধি-চিত্র, সন্দশন করিতেছেন। অনেকক্ষণ পরে সমাধি ভঙ্গ হইল। ঠাকুর দীঘনিঃশ্বাস ফেলিয়া “রাম” এই নাম বার বার উচ্চারণ করিতে লাগিলেন। নামের বণে বণে যেন অমত ঝরিতেছে। ঠাকুর উপবিস্ট হইলেন। ভক্তেরা চতুদিকে বসিয়া একদটে দেখিতেছেন। শ্রীরামকৃষ্ণ (ভস্তুদিগের প্রতি)—অবতার যখন আসে, সাধারণ লোকে জানতে পারে না,—গোপনে আসে। দুই চারিজন অন্তরঙ্গ ভক্ত জানতে পারে! রাম পাণব্ৰহ্ম, পণে অবতার, এ কথা বারজন ঋষি কেবল জানত। অন্যান্য ঋষিরা বলেছিল, হে রাম, আমরা তোমাকে দশরথের ব্যাটা বলে জানি।’ “অখণ্ড সচ্চিদানন্দকে কি সকলে ধরতে পারে? কিন্তু নিত্যে* উঠে যে বিলাসের জন্য লীলায় থাকে, তারই পাকা ভক্তি। বিলাতে কুইন (রাণী) কে দেখে এলে পর, তখন কুইনএর কথা; কুইনএর কায, এ সকল বর্ণনা করা চলতে পারে। কুইনএর কথা তখন বলা ঠিক ঠিক হয়। ভরদ্বাজাদি ঋষি রামকে স্তব করেছিলেন, আর বলেছিলেন;–হে রাম তুমিই সেই অখণ্ড সচ্চিদানন্দ। তুমি আমাদের কাছে মানুষরাপে অবতীর্ণ হয়েছ। বস্তুতঃ তুমি তোমার মায়া আশ্রয় করেছ বলে, তোমাকে মানুষের মত দেখাচ্চে! ভরদ্বাজাদি ঋষি রামের পরম ভক্ত। তাঁদের ভক্তি পাকা ভক্তি।” •fasi-God, the Absolute.