পাতা:শ্রীশ্রীরামকৃষ্ণ কথামৃত দ্বিতীয় ভাগ.djvu/৩৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

२७ छैटौब्रामकृककथामा७-२म्न छाण [ ১৮৮৩, ৮ই এপ্রিল শ্রীরামকৃষ্ণ—হাগা, কাশীতে গেলে, কিছু সাধটোধ দেখলে ? মণিলাল—আজ্ঞে হাঁ, ত্রৈলঙ্গ স্বামী, ভাস্করানন্দ, এদের সব দেখতে গিছলাম। ' ' শ্রীরামকৃষ্ণ-কি রকম সব দেখলে বল ? মণিলাল—ত্রৈলঙ্গ স্বামী সেই ঠাকুরবাড়ীতেই আছেন, মণিকণিকার ঘাটে বেণীমাধবের কাছে। লোকে বলে, আগে তাঁর উচ্চ অবস্থা ছিল। কত আশচয* আশচয্য কায করতে পারতেন। এখন অনেকটা কমে গেছে। শ্রীরামকৃষ্ণ—ও সব বিষয়ী লোকের নিন্দা। মণিলাল—ভাস্করানন্দ সকলের সঙ্গে মেশেন, ত্রৈলঙ্গ স্বামীর মত নয়— একেবারে কথা বলধ । [সিদ্ধের পক্ষে ঈশ্বৰর কত্তা—অন্যের পক্ষে পাপপণ্য—ফ্রি উইল] শ্রীরামকৃষ্ণ—ভাস্করানন্দের সঙ্গে তোমার কোন কথা হল ? মণিলাল—আজ্ঞে হাঁ, অনেক কথা হ’ল। তার মধ্যে পাপপণ্যের কথা হ’ল ! তিনি বল্লেন, পাপ পথে যেও না, পাপচিন্তা ত্যাগ করবে, ঈশ্বর এই সব চান। যে সব কাজ কল্পে পণ্য হয়, এমন সব কম কর। শ্রীরামকৃষ্ণ–হাঁ ও এক রকম আছে, ঐতিহাসিকদের জন্য। যাদের চৈতন্য হয়েছে, যাদের ঈশ্বর সৎ আর সব অসৎ অনিত্য বলে বোধ হয়ে গেছে, তাদের আর এক রকম ভাব। তারা জানে যে, ঈশ্ববরই একমাত্র কত্তা, আর সব অকৰ্ত্তা। যাদের চৈতন্য হয়েছে তাদের বেতালে পা পড়ে না, হিসাব করে পাপ ত্যাগ কত্তে হয় না, ঈশ্বরের উপর এত ভালবাসা যে, যে কম তারা করে সেই কমই সৎকম ! কিন্তু তারা জানে, এ কমের কত্তা আমি নই, আমি ঈশ্বরের দাস। আমি যন্ত্র, তিনি যন্ত্রী। তিনি যেমন করান, তেমনি করি, যেমন বলান তেমনি বলি, তিনি যেমন চালান, তেমনি চলি। “ষাদের চৈতন্য হয়েছে, তারা পাপপণ্যের পার। তারা দেখে ঈশ্বরই সব করছেন। এক জায়গায় একটি মঠ ছিল। মঠের সাধরা রোজ মাধ্যকরী (ভিক্ষা) করতে যায়। একদিন একটি সাধন ভিক্ষা করতে করতে দেখে যে, একটি জমিদার একটি লোককে ভারী মারছে। সাধনটি বড় দয়াল; সে মাঝে পড়ে জমিদারকে মারতে বারণ করলে। জমিদার তখন ভারী রেগে রয়েছে, সে সমস্ত কোপটা সাধটির গায়ে ঝাড়লে। এমন প্রহার করলে যে, সাধটি অচৈতন্য হয়ে পড়ে রৈল। কেউ গিয়ে মঠে খবর দিলে, তোমাদের একজন সাধকে জমিদার ভারী মেরেছে। মঠের সাধরা দৌড়ে এসে দেখে সাধটি অচৈতন্য হয়ে পড়ে রয়েছে! তখন তারা পাঁচজনে ধরাধরি করে তাকে মঠের ভিতর নিয়ে গিয়ে একটি ঘরে শোয়ালে। সাধন অজ্ঞান, চারিদিকে মঠের লোকে ঘিরে বিমষ হয়ে বসে আছে, কেউ কেউ বাতাস কচ্চে। একজন বল্পে,