পাতা:শ্রীশ্রীরামকৃষ্ণ কথামৃত দ্বিতীয় ভাগ.djvu/৪৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

○ 。 গ্রীরাকৃষ্ণকথামত—২য় ভাগ ১৮৮৩, ৮ই এপ্রিল [ऋठळलाक-‘छौब नाङ नभट्ब्र' ] ঠাকুর অধরের কুশল পরিচয় লইলেন। অধর তাঁহার বন্ধর পত্ৰশোকের কথা নিবেদন করিলেন। ঠাকুর আপনার মনে গান গাহিতেছেনঃ– জীব সাজ সমরে, রণবেশে কাল প্রবেশে তোর ঘরে। ভক্তিরথে চড়ি, লয়ে জ্ঞানতন্ণ, রসনা-ধনকে দিয়ে প্রেম গণ, ব্ৰহ্মময়ীর নাম ব্ৰহ্ম অসত্র তাহে সন্ধান করে ॥ আর এক যুক্তি রণে, চাই না রথরথী, শত্রনাশে জীব হবে সমসঙ্গতি, রণভূমি যদি করে দাশরথী ভাগীরথীর তীরে। “কি করবে ? এই কালের জন্য প্রস্তুত হও । কাল ঘরে প্রবেশ করেছে, তাঁর নাম রপ অসন্ন লয়ে যন্ধে করতে হবে, তিনিই কত্তা। আমি বলি, যেমন করাও, তেমনি করি ; যেমন বলাও তেমনি বলি ; আমি যন্ত্র তুমি যন্ত্রী ; আমি ঘর, তুমি ঘরণী ; আমি গাড়ী তুমি ইঞ্জিনীয়ার। “তাঁকে আমমোক্তারি দাও! ভাল লোকের উপর ভার দিলে অমঙ্গল হয় না। তিনি যা হয় করন। ● “তা শোক হবে না গা? আত্মজ! রাবণ বধ হ’ল; লক্ষণ দোঁড়িয়ে গিয়ে দেখলেন। দেখেন যে, হাড়ের ভিতর এমন জায়গা নাই—যেখানে ছিদ্র নাই । তখন বললেন, রাম! তোমার বাণের কি মহিমা! রাবণের শরীরে এমন সথান নাই, যেখানে ছিদ্র না হয়েছে! তখন রাম বললেন, ভাই হাড়ের ভিতর যে সব ছিদ্র দেখুছ, ও বাণের জন্য নয়। শোকে তার হাড় জরজর হয়েছে। ঐ ছিদ্রগলি সেই শোকের চিহ্ন। হাড় বিদীণ করেছে। “তবে এ সব অনিত্য। গহ, -পরিবার, সন্তান দুদিনের জন্য। তালগাছই সত্য। দু’একটা তাল খসে পড়েছে। তার আর দুঃখ কি ? “ঈশ্বর তিনটি কাজ করছেন ;–সটি, সিথতি, প্রলয়। মৃত্যু আছেই। প্রলয়ের সময় সব ধবংস হয়ে যাবে, কিছুই থাকবে না। মা কেবল সর্টির । বীজগলি কুড়িয়ে রেখে দেবেন। আবার নতন সটির সময় সেই বীজগলি বার করবেন। গিন্নীদের যেমন ন্যাতা কাঁতার হাঁড়ি থাকে। (সকলের হাস্য)। তাতে শশাবীচি, সমুদ্রের ফেনা, নীলবড়ি, ছোট ছোট পট্টলিতে বাঁধা থাকে।