পাতা:শ্রীশ্রীরামকৃষ্ণ কথামৃত পঞ্চম ভাগ.djvu/১৪১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ՖՀԿ শ্ৰীশ্রীরামকৃষ্ণ কথামৃত—৫ম ভাগ [ ১৮৮৩, ২১শে ডিসেম্বর হঠাৎ জানালার দিকে দৃষ্টিপাত করিয়া দেখেন শ্রীরামকৃষ্ণ দণ্ডায়মান। পরশে পবিত্র কোরে আমি দীনহীন ? এই কথা শুনিয়া তাহার চক্ষু, অশ্রুপূর্ণ হইয়াছে। , আবার একটী গান গাহিতেছেন— আমি গেরুয়া বসন অঙ্গেতে পরিব শঙ্খের কুণ্ডল পরি। আমি যোগিনীর বেশে যাব সেই দেশে, যেখানে নিঠুর হরি। ত্রীরামকৃষ্ণের সঙ্গে রাখাল বেড়াইতেছেন। শুক্রবার, ২১শে ডিসেম্বর, সকালবেলা শ্রীরামকৃষ্ণ একাকী বেলতলায় মণির সঙ্গে অনেক কথা কহিতেছেন। সাধনের নানা গুহ কথা, . কামিনীকাঞ্চন ত্যাগের কথা । আর কখনো কখনো মনই গুরু হয়, এ সব কথা বলিতেছেন। আহারের পর পঞ্চবটীতে আসিয়াছেন—মনোহর পীতাম্বরধারী পঞ্চবটীতে দুতিন জন বাবাজী বৈঞ্চব আসিয়াছেন—একজন বাউল। তিনি বৈষ্ণবকে বলিতেছেন, তোর ডোর কোপনের স্বরূপ বল দেখি ! অপরাহ্নে নানক পন্থী সাধু আসিয়াছেন। হরিশ, রাখালও আছেন। সাধু নিরাকারবাদী। ঠাকুর তাহাকে সাকারও চিন্তা করিতে বলিতেছেন। গ্রীরামকৃষ্ণ সাধুকে বলতেছেন ডুব দাও ; উপর উপর ভাসলে রত্ন পাওয়া * যায় না। আর ঈশ্বর নিরাকারও বটেন আবার সাকার। সাকার চিন্ত করলে শীঘ্ৰ ভক্তি হয়। তখন আবার মিরাকার চিত্ত। যেমন পত্র পড়ে নিয়ে সে পত্র ফেলে দেয় । তারপর লেখা অনুসারে কাজ করে ।