পাতা:শ্রীশ্রীরামকৃষ্ণ কথামৃত পঞ্চম ভাগ.djvu/১৫৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

$88. প্রীরামকৃষ্ণ কথামৃত-৫ম ভাগ [ ১৮৮৪, মার্চ, ৯ কিন্তু বিষয়ে যত টান কামিনী কাঞ্চনে যত ভালবাসা তার অতি অল্প অংশও ঈশ্বরের দিকে দেয় না। অথচ মুখে বলে ঈশ্বরকে ভালবাসি।” (মণি মল্লিকের প্রতি )—কপটতা ছাড়ো।” মণিলাল—মান্নুষ সম্বন্ধে না ঈশ্বর সম্বন্ধে ? শ্রীরামকৃষ্ণ—সব রকম। মানুষ সম্বন্ধেও বটে, আর ঈশ্বর সম্বন্ধেও বটে ; কপটতা করতে নাই । “ভবনাথ কেমন সরল। বিবাহ করে এসে আমায় বলছে, স্ত্রীর উপর আমার এত স্নেহ হ’চ্ছে কেন ? আহা ! সে ভারি সরল !” “ত স্ত্রীর উপর ভালবাসা হ’বে না? এটা জগৎমাতার ভুবন মোহিনী মায়া। স্ত্রীকে বোধ হয় পৃথিবীতে অমন আপনার লোক আর হবে না— আপনার লোক, জীবনে মরণে, ইহকালে পরকালে।” “এই স্ত্রী নিয়ে মানুষ কি না দুঃখ ভোগ করছে, তবু মনে করে যে এমন আত্মীয় আর কেউ নাই। কি দুরবস্থা ! কুড়ি টাকা মাইনে—তিনটে ছেলে হয়েছে—তাদের ভাল করে খাওয়াবার শক্তি নেই, বাড়ীর ছাদ দিয়ে জল পড়ছে মেরামত করার পয়সা নাই—ছেলের নতুন বই কিনে দিতে পারে না— ছেলের পৈতে দিতে পারে না—এর কাছে আট আনা ওর কাছে চার আনা ভিক্ষে করে!” “বিদ্যারূপিনী স্ত্রী যথার্থ সহধৰ্ম্মিনী। স্বামীকে ঈশ্বরের পথে যেতে বিশেষ সহায়তা করে। দু’একটি ছেলের পর দু’জনে ভাই ভগিনীর মত থাকে! দুজনেই ঈশ্বরের ভক্ত—দাস দাসী। তাদের সংসার, বিদ্যার সংসার। ঈশ্বরকে ও ভক্তদের লয়ে সৰ্ব্বদা আনন্দ । তারা জানে ঈশ্বরই একমাত্র আপনার লোক—অনন্ত কালের আপনার ! মুখে দুঃখে তাকে ভুলে না—যেমন পাণ্ডবেরা ।” সংসারী ভক্ত ও ত্যাগী ভক্ত ]

  • সংসারীদের ঈশ্বরাচুরাগ ক্ষণিক—যেমন তপ্ত খোলায় জল পড়েছে— ছ্যাক করে উঠলো—তারপরেই শুকিয়ে গেল।”