পাতা:শ্রীশ্রীরামকৃষ্ণ কথামৃত পঞ্চম ভাগ.djvu/১৬০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দক্ষিণেশ্বর—নিরাকার ও সাকার ধ্যান 28& [ ত্রীরামকৃষ্ণ ও ধ্যানযোগ—শিবযোগ, বিষ্ণুযোগ— নিরাকার ধ্যান ও সাকার ধ্যান ] মণিলাল ( শ্রীরামকৃষ্ণের প্রতি )—আচ্ছা, ধ্যানের কি নিয়ম ? কোথায় ধ্যান করতে হয় ? শ্রীরামকৃষ্ণ–হৃদয় ডঙ্কাপেটা জায়গা । হৃদয়ে ধ্যান হতে পারে, অথবা সহস্রারে, এগুলি আইনের ধ্যান—শাস্ত্রে আছে। তবে তোমার যেখানে অভিরুচি ধ্যান করতে পার। সবস্থানই ত ব্ৰহ্মময় ; কোথায় তিনি নাই ? “যখন বলির কাছে তিন পায় নারায়ণ স্বর্গ, মৰ্ত্ত, পাতাল ঢেকে ফেললেন, তখন কি কোন স্থান বাকী ছিল ? গঙ্গাতীরও যেমন পবিত্র, আবার যেখানে খারাপ মাটী আছে সেও তেমনি পবিত্র। আবার আছে এ সমস্ত তারই বিরাটমুক্তি।” নিরাকার ধ্যান ও সাকার ধ্যান । নিরাকার ধ্যান বড় কঠিন । সে ধ্যানে যা কিছু দেখছ শুনছ—লীন হয়ে যাবে ; কেবল স্ব-স্বরূপ চিস্তা। সেই স্বরূপ চিন্ত করে শিব নাচেন । “আমি কি’ ‘আমি কি, এই বলে নাচেন ।” “একে বলে শিবযোগ। ধ্যানের সময় কপালে দৃষ্টি রাখতে হয়। ‘নেতি’, ‘নেতি’, করে জগৎ ছেড়ে স্ব-স্বরূপ চিস্তা।” “আর এক আছে বিষ্ণুযোগ। নালাগ্রে দৃষ্টি ; অৰ্দ্ধেক জগতে অৰ্দ্ধেক অস্তরে। সাকার ধ্যানে এইরূপ হয়।” “শিব কথন কথন সাকার চিস্তা করে নীচেন—‘রাম’ ‘রাম’ বলে নাচেন ।” 43-סל