পাতা:শ্রীশ্রীরামকৃষ্ণ কথামৃত পঞ্চম ভাগ.djvu/১৭৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দক্ষিণেশ্বর—ভক্ত বধূদের প্রতি কৰ্ত্তব্য ও উপদেশ >&S শ্রীরামকৃষ্ণ (সস্নেহে )—আমি তো মন্ত্র দিই না । মন্ত্র দিলে শিষ্যের পাপ তাপ নিতে হয় । মা আমায় বালকের অবস্থায় রেখেছেন। এখন তোমরা শিব পুজা যা বলে দিলাম তাই কোরো। মাঝে মাঝে আসবে—পরে ঈশ্বরের ইচ্ছায় যা হয় হবে। স্নানযাত্রার দিন আবার আসবার চেষ্টা করবে। “বাড়ীতে হরিনাম করতে আমি যে বলেছিলাম, তা কি হচ্ছে ?” বধু ( শ্রীরামকৃষ্ণের প্রতি )—আজ্ঞে, হা । শ্রীরামকৃষ্ণ—তোমরা উপবাস কো’রে এসেছ কেন ? খেয়ে আসতে হয় । “মেয়ের আমার মার এক একটি রূপ * কি না ; তাই তাদের কষ্ট আমি দেখতে পারি না ; জগন্মাতার এক একটি রূপ। খেয়ে আসবে, আনন্দে থাকবে ।” এই বলিয়া শ্ৰীযুক্ত রামলালকে বধূদের বসাইয়া জল খাওয়াইতে আদেশ করিলেন। ফলহারিণী পূজার প্রসাদ, লুচি, নানাবিধ ফল, গ্লাস ভরিয়া— চিনির পানা ও মিষ্টান্নাদি র্তাহারা পাইলেন । ঠাকুর বলিলেন “তোমরা কিছু খেলে, এখন আমার মনটা শীতল হলো ; আমি মেয়েদের উপবাসী দেখতে পারি না।” ভক্তসঙ্গে গুহ্যকথা—গ্রীযুক্ত কেশব (সন শ্রীরামকৃষ্ণ শিবের সিড়িতে বসিয়া আছেন। বেলা অপরাহ্ন ৫টা হইয়াছে কাছে অধর, ডাক্তার নিতাই, মাষ্টার প্রভৃতি দু একটি ভক্ত বসিয়া আছেন। শ্রীরামকৃষ্ণ ( ভক্তদের প্রতি )—দেখ, আমার স্বভাব বদলে যাচ্ছে। এইবার কি গুহ কথা বলিবেন বলিয়া সিড়িতে এক ধাপ নামিয়া ভক্তদের কাছে বসিলেন । আবার কি বলিতেছেন—

  • স্ক্রিয়ঃ সমস্তাঃ সকল জগৎসু-স্ত্রীদেবীমাহাত্ম্যম। চণ্ডী ১১, ৬