পাতা:শ্রীশ্রীরামকৃষ্ণ কথামৃত পঞ্চম ভাগ.djvu/২৭৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

रे €br শ্ৰীশ্রীরামকৃষ্ণ কথামৃত—৫ম ভাগ [ পরিশিষ্ট

  • সংসারী লোকের টাকার দরকার আছে ; কেন না, মাগ ছেলে আছে।

তাদের সঞ্চয় করা দরকার মাগ ছেলেদের খাওয়াতে হবে। সঞ্চয় করবে না কেবল পন্থী আউৰ্ব দরবেশ, অর্থাৎ পাখী আর সন্ন্যাসী । কিন্তু পাখীর ছানা হ’লে সে মুখে ক’রে খাবার আনে। তারও তখন সঞ্চয় করতে হয়। তাই ংসারী লোকের টাকার দরকার। পরিবার ভরণপোষণ করতে হয় ।” “সংসারী লোক শুদ্ধভক্ত হ’লে অনাসক্ত হ’য়ে কৰ্ম্ম করে। কৰ্ম্মের ফল— লাভ, লোকসান, মুখ, দুঃখ ঈশ্বরকে সমৰ্পন করে। আর র্তার কাছে রাতদিন ভক্তি প্রার্থনা করে, আর কিছুই চায় না। এরই নাম নিষ্কাম কৰ্ম্ম—অনাসক্ত ছয়ে কৰ্ম্ম করা। সন্ন্যাসীরও সব কৰ্ম্ম নিষ্কাম-করতে হয়। তবে সন্ন্যাসী ংসারীদের মত বিষয় কৰ্ম্ম করে না।”

  • সংসারী ব্যক্তি নিষ্কামভাবে যদি কাউকে দান করে সে নিজের উপকারের জন্য, পরোপকারের জন্য নয়। সৰ্ব্বভুতে হরি আছেন তারই সেবা করা হয় ! হরিসেবা হ’লে নিজেরই উপকার হ’লে ‘পরোপকার’ নয় । এ সৰ্ব্বভূতে হরির সেবা—শুধু মামুষের নয় জীবজন্তুর মধ্যেও হরির সেবা, যদি কেউ করে, আর যদি সে মান চায় না, যশ চায় না, মরবার পর স্বৰ্গ চায় না, যাদের সেবা ক’রছে, ভাদের কাছ থেকে উলুটে কোনও উপকার চায় না, এরূপ ভাবে যদি সেবা করে, তা হ’লে তার যথার্থ নিষ্কাম কৰ্ম্ম, অনাসক্ত কৰ্ম্ম করা হয়। এইরূপ নিষ্কাম কৰ্ম্ম করলে তার নিজের কল্যাণ হয়। এরই নাম কৰ্ম্মযোগ । এই কৰ্ম্মযোগও ঈশ্বরলাভের একটি পথ। কিন্তু বড় কঠিন, কলিযুগের পক্ষে নয় ।”

“তাই বলছি, যে অনাসক্ত হয়ে এরূপ কৰ্ম্ম করে, দয়া দান করে, সে নিজেরই মঙ্গল করে। পরের উপকার পরের মঙ্গল সে ঈশ্বর করেন—ধিনি চন্দ্র, স্বৰ্য্য, বাপ, মা, ফল, ফুল, শস্ত জীবের জন্ত করেছেন ! বাপ-মার ভিতর যা স্নেহ দেখ, সে তারই স্নেহ, জীবের রক্ষার জন্তই দিয়েছেন। দয়ালুর ভিতর যা দয়া দেখ, সে তারই নিঃসহায় জীবের রক্ষার জন্ত দিয়েছেন। তুমি দয়া কর আর না কর, তিনি কোন না কোন স্থত্রে তার কায করবেন। তার কায আটকে থাকে না।”