পাতা:শ্রীশ্রীরামকৃষ্ণ কথামৃত পঞ্চম ভাগ.djvu/২৮৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ঐত্রীরামকৃষ্ণ কথামৃত—৫ম ভাগ [ পরিশিষ্ট ون واج শ্রীরামকৃষ্ণ ( সহাস্তে )—কি গো ! কি রকম সব ভক্ত সেখানে ? যারা গোপাল গোপাল, কেশব কেশব বলেছিল, তাদের মত কি ? ( সকলের হাস্তা ) । একজন ভক্ত—মহাশয়, গোপাল, গোপাল, গল্পটি কি ? শ্রীরামকৃষ্ণ (হাসিতে হাসিতে )—তবে গল্পটি বলি শোন। এক জায়গায় একটী স্তাকরীর দোকান আছে। তারা পরম বৈষ্ণব, গলায় মালা, তিলক সেবা, প্রায় হাতে হরিনামের ঝুলি আর মুখে সৰ্ব্বদাই হরিনাম। সাধু বললেই হয়, তবে পেটের জন্ত স্তাকরার কৰ্ম্ম করা ; মাগ-ছেলেদের তো খাওয়াতে হবে। পরম বৈষ্ণব, এই কথা শুনে অনেক খরিদার তাদেরই দোকানে আসে ; কেন না, তারা জানে যে, এদের দোকানে সোণ-রূপী গোলমাল হবে না। খরিদার দোকানে গিয়ে দেখে যে, মুখে হরিনাম করছে, আর বসে বসে কাজকৰ্ম্ম করছে ; খরিদার যাই গিয়ে বসলো, একজন বলে উঠলো, “কেশব ! কেশব ! কেশব ।” খানিকক্ষণ পরে আর এক জন বলে উঠলে, “গোপাল ! গোপাল ! গোপাল !” আবার একটু কথাবার্তা হ’তে না হ’তেই আর এক জন বলে উঠলো—“হরি হরি হরি ” গয়না গড়বার কথা যখন এক রকম ফুরিয়ে এলো, তখন আর এক জন বলে উঠলে—“হর হর হর হর ।” কাযে কাযেই এত ভক্তি প্রেম দেখে তারা স্তাকৃরাদের কাছে টাকাকড়ি দিয়ে নিশ্চিন্ত হলে ; জানে যে এরা কখনও ঠকাবে না । “কিন্তু কথা কি জান ? খরিদার আসবার পর যে বলেছিল “কেশব কেশব,” তার মানে এই, এরা সব কে ?.অর্থাৎ যে খরিদারেরা আসলো, এরা সব কে ? যে বললে, “গোপাল গোপাল” তার মানে এই, এরা দেখছি গোরুর পাল, গোরুর পাল। যে বল্পে *হরি হরি,” তার মানে এই যেকালে দেখছি গরুর পাল, সে স্থলে তবে "হরি’ অর্থাৎ হরণ করি। আর যে বললে, “হর হর,” তার মানে এই যেকালে গরুর পাল দেখছো, সেকালে সৰ্ব্বস্ব হরণ কর। এই তারা পরমভক্ত সাধু। (সকলের হাস্ত )।” বঙ্কিম বিদায় গ্রহণ করিলেন। কিন্তু একাগ্র হয়ে কি ভাবিতেছিলেন।