পাতা:শ্রীশ্রীরামকৃষ্ণ কথামৃত পঞ্চম ভাগ.djvu/৪৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বাবুরাম প্রভৃতির সঙ্গে Free will সম্বন্ধে কথা לסי نهجاً গভীর রাত্রি, ২টা ৩টা হইবে। ঠাকুরের ঘরে আলো নিভিয়া গিয়াছে। তিনি নিজে বিছানায় বসিয়া ভক্তদের সহিত মাঝে মাঝে কথা কহিতেছেন। [ জীরামকৃষ্ণ ও বাবুরাম, মাষ্টার প্রভৃতি—দয়া ও মায়— কঠিন সাধন ও ঈশ্বর দর্শন ] ঐরামকৃষ্ণ (মাষ্ট্যর প্রভৃতি ভক্তদের প্রতি )—দেখ, দয়া আর মায়া এ দুটি আলাদা জিনিষ। মায়া মানে আত্নীয়ে মমতা ; যেমন বাপ মা, ভাই ভগ্নী, স্ত্রী পুত্র, এদের উপর ভালবাসা। দয়া সৰ্ব্বভূতে ভালবাসা ; সমষ্টি। কারু ভিতর যদি দয়া দেখ যেমন বিদ্যাসাগরের, সে জানবে ঈশ্বরের দয়া । দয়া থেকে সৰ্ব্বভূতের সেবা হয়। মায়াও ঈশ্বরের। মায়া দ্বারা তিনি আত্মীয়দের সেবা করিয়ে লন । তবে একটি কথা আছে ; মায়াতে অজ্ঞান করে রাখে, আর বদ্ধ করে। কিন্তু দয়াতে চিত্তশুদ্ধি হয়। ক্রমে বন্ধনমুক্তি হয় | o “চিত্তশুদ্ধি না হলে ভগবান দর্শন হয় না। কাম, ক্রোধ, লোভ, এসব জয় করলে তবে তার কৃপা হয় ; তখন দর্শন হয় । তোমাদের অতি গুহ কথা বলছি, কাম জয় করবার জন্ত আমি অনেক করেছিলুম। এমন কি আনন্দ আসনের চারিদিকে ‘জয় কালী” “জয় কালী”—বলে অনেকবার প্রদক্ষিণ করেছিলাম। আমার দশ এগার বৎসর বয়সে যখন ও দেশে ছিলুম, সেই সময়ে ঐ অবস্থাটি (সমাধি অবস্থা ) হয়েছিল ; মাঠ দিয়ে যেতে যেতে যা দর্শন কল্লাম তাতে বিহবল হয়েছিলাম। ঈশ্বর দর্শনের কতকগুলি লক্ষণ আছে। জ্যোতি দেখা যায়, আনন্দ হয়, বুকের ভিতর তুবড়ির মত গুর গুর করে মহাবায়ু ওঠে।” ! r & পরদিন বাবুরাম, রামদয়াল, বাড়ী ফিরিয়া গেলেন। মাষ্টার সেইদিন ও \ রাত্রি ঠাকুরের সঙ্গে অতিবাহিত করিলেন। সেদিন তিনি ঠাকুরবাড়ীতেই o থাইলেন।