পাতা:শ্রীশ্রীরামকৃষ্ণ কথামৃত প্রথম ভাগ.djvu/১৯৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১৭৬ ঐস্ত্রীরামকৃষ্ণকথামৃত ت ه د,3 بیت بود]اt t۹آ به اعه یه سیاسی مهم کمی سرخ میدی۶۹ অভেদ । মণির জ্যোতিঃ ভাবলেই মণি ভাবতে হয়। দুধ আর দুধের ধবলত্ব যেমন অভেদ। একটাকে ভাবলেই আর একটাকে ভাবতে হয়। কিন্তু, এ অভেদ জ্ঞান-পূর্ণজ্ঞান না হ’লে হয় না। পূর্ণ জ্ঞানে সমাধি হয়, চতুব্বিংশতি তত্ব ছেড়ে চলে যায়—তাই অহংতত্ব থাকে না। সমাধিতে কি বোধ হয়, মুখে বলা যায় না। নেমে একটু আভাসের মত বলা যায়। যখন সমাধি ভঙ্গের পর ‘ওঁ ও বলি, তখন আমি একশো হাত নেমে এসেছি! ব্ৰহ্ম বেদ বিধির পার, মুখে বলা যায় না। সেখানে ‘আমি তুমি নাই । "যতক্ষণ আমি "তুমি আছে, যতক্ষণ আমি প্রার্থনা কি ধ্যান করছি, এ জ্ঞান আছে, ততক্ষণ ‘তুমি, ( ঈশ্বর ) প্রার্থনা শুনচে, এ জ্ঞানও আছে, ঈশ্বরকে ব্যক্তি বলে বোধ আছে। তুমি প্রভু, আমি দাস ; তুমি পূর্ণ, আমি অংশ ; তুমি মা, আমি ছেলে ; এ বোধ থাকবে। এই ভেদ বোধ — আমি একট, তুমি একটা । এ ভেদ বোধ তিনিই করাচ্ছেন! তাই পুরুষ মেয়ে, আলো অন্ধকার, এই সব বোধ হচ্চে। যতক্ষণ এই ভেদ বোধ, ততক্ষণ শক্তি ( Personal God ) TĦgvs zzz তিনিই আমাদের ভিতর ‘আমি রেখে দিয়েছেন। হাজার বিচার কর, আমি’ আর যায় না! আর তিনি ব্যক্তি হ’য়ে দেখা দেন । - "তাই যতক্ষণ আমি আছে, যতক্ষণ ভেদবুদ্ধি আছে,—ততক্ষণ ব্ৰহ্ম নিগুৰ্ণ বলবার যো নাই। ততক্ষণ সগুণ ব্রহ্ম মানতে হবে। এই সগুণ ব্ৰহ্মকে বেদ, পুরাণ, তন্ত্রে কালী বা আস্তাশক্তি বলে গেছে।” ব্ৰাহ্মসমাজ ও বেদান্ত প্রতিপাদ্য ব্রহ্ম। ] বিজয়। এই আস্তাশক্তি দর্শন, আর ঐ ব্রহ্মজ্ঞান, কি উপায়ে হতে পারে ? স্ত্রীরামকৃষ্ণ ব্যাকুল হৃদয়ে তাকে প্রার্থনা করে। আর কাদে ! এইরূপে চিত্তশুদ্ধি হয়ে যাবে। তখন নিৰ্ম্মল জলে স্বৰ্য্যের প্রতিবিম্ব দেখতে পাবে। ভক্তের আমিরূপ আসীতে সেই সগুণব্ৰহ্ম আদ্যাশক্তি দর্শন করবে। কিন্তু, আলী খুব পোছ চাই। ময়লা থাকলে ঠিক প্রতিবিম্ব পড়বে না! - "যতক্ষণ আমি জলে স্বৰ্য্যকে দেখতে হয়, আর স্বৰ্য্যকে দেখবার কোন রূপ উপায় হয় না, আর যতক্ষণ প্রতিবিম্ব স্বৰ্য্য বই সত্য স্বৰ্য্যকে দেখবার উপায়ু নাই, ততক্ষণ প্রতিবিম্ব স্বৰ্য্যই ষোল আন সত্য। যতক্ষণ আমি সত্য, "ম স্বৰ্য্যও সত্য—ষোল আন সত্য। সেই প্রতিবিম্ব স্বৰ্য্যই