পাতা:শ্রীশ্রীরামকৃষ্ণ কথামৃত প্রথম ভাগ.djvu/২৩৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ঠাকুর ত্রীরামকৃষ্ণ বলরাম মন্দিরে। , ২১৩ । গিরীশ । কি ? বিষ্ঠা ? ও আমি অনেক দেখেছি ! ওতে আর ভুলি না । । শ্রীরামকৃষ্ণ ( হাসিতে হাসিতে ) ৷ আমার এখানকার ভাব কি জান ? : “বই, শাক্স এ সব কেবল ঈশ্বরের কাছে পহুছিবাল্প পথ ব’লে দেক্স। পথ, উপায়, জেনে লৰার পর, আর বই শাস্ত্রে কি দরকার ? তখন নিজে কাজ করতে হয় । , “এক জন এক খান চিঠি পেয়েছিল, কুটুমবাড়ী তত্ব ੋਣ হবে ; কি কি জিনিষ লেখা ছিল । জিনিষ কিনতে দেবার সময়, চিঠিখানি খুজে পাওয়া যাচ্ছিল না । কৰ্ত্তাটা তখন খুব ব্যস্ত হয়ে চিঠির খোজ আরম্ভ করলেন । অনেকক্ষণ ধ’রে অনেক জন মিলে খুজলে । শেষে চিঠিখানি পাওয়া গেল । তখন আর আনন্দের সীমা নাই। কৰ্ত্ত ব্যস্ত হয়ে অতি যত্বে চিঠিখানি হাতে নিলেন ; আর দেখতে লাগলেন, কি লেখা আছে। লেখা এই, পাচসের সন্দেশ পাঠাইবে, আর একখান কাপড় পাঠাইবে ; আরও কত কি । তখন আর চিঠির দরকার নাই, চিঠি ফেলে দিয়ে সন্দেশ ও কাপড়ের আর অভ্যন্ত জিনিষের চেষ্টায় বেরুলেন । চিঠির দরকার কতক্ষণ ? যতক্ষণ সম্বেশ কাপড় ইত্যাদির বিষয় না জানা যায়। তার পরই পাবার চেষ্ট । , - “শাস্ত্রে তাকে পাবার উপায়ের কথা পাবে। কিন্তু সব খবর জেনে কৰ্ম্ম আরম্ভ ক’বৃতে হয়। তবেতো বস্তলাভ ! r “শুধু পাণ্ডিত্যে কি হবে ? অনেক শ্লোক, অনেক শাস্ত্র, পণ্ডিতের জানা থাকতে পারে; কিন্তু যার সংসারে আসক্তি আছে, যার কামিনীকাঞ্চনে মনে । মনে ভালবাস আছে, তার শাস্ত্র ধারণা হয় নাই—মিছে পড়া । “পাজীতে লিখেছে, বিশ আড় জল, কিন্তু পাজী টিপলে এক ফোটাও পড়ে না ! এক ফোটাই পড়–কিন্তু এক ফোটাও পড়ে না। (সকলের হাস্য ) । । গিরীশ (সহস্যে )। মহাশয়! পাজী টিপলে এক ফোটাও পড়ে না ? ( সকলের হাস্ত । ) - শ্রীরামকৃষ্ণ (সহস্যে )। পণ্ডিত খুব লম্বা লম্বা কথা বলে, কিন্তু নজর কোথায় ? কামিনী আর কাঞ্চনে, দেহের সুখে আর টাকায় । “শকুনি খুব উচুতে উড়ে, কিন্তু নজর ভাগাড়ে ! ( সকলের হাস্য )। " “কেবল খুজছে, কোথায় মরা জানোয়ার, কোথায় ভাগাড়, কোথায় ষড় । s [ নরেক্সের কথা । ] g হীরামকৃষ্ণ (গিৰীশের প্রতি ) ৷ নয়েজ খুব ভাল ; গাইছে, বাজাতে,