পাতা:শ্রীশ্রীরামকৃষ্ণ কথামৃত প্রথম ভাগ.djvu/৩০২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শুামপুকুর বাটী। সরকার, নরেন্দ্র,গিরীশ প্রভৃতি ভক্ত সঙ্গে। ২৭৫ . SAA AA ASASASAMASAMAeeMeAAASAASAASAASAASAASAASAASAASAASAAMMASAeEAeeee eSeSeeeS SeeSS See ee eeeAMAAMMMAAAASASASS মুখ এখনও যেন প্রফুল্ল অরবিন্দ,—ম্বেন ঐশ্বরিক জ্যোতিঃ বহির্গত হইতেছে। তখন তিনি ডাক্তারকে সম্বোধন করিয়া বলিতেছেন, “লজ্জা ত্যাগ কর, ঈশ্বরের নাম করবে, তাতে আবার লজ্জা কি ? লজ্জা, ঘৃণা, ভয়, তিন । থাকতে নয়!" আমি এত বড় লোক, আমি হরি হরি' বলে নাচব ? বড় বড় লোক এ কথা শুনলে আমায় কি বলবে। যদি বলে, ‘ওহে ; ডাক্তারটা । “হরি হরি বলে নেচেছে ! লজ্জার কথা !" এ সব ভাব ত্যাগ কর। o ডাক্তার। আমার ও দিক্ দিয়েই যাওয়া নাই; লোকে কি ব’লবে, আমি তার তোয়াক্কা রাখি না। o শ্রীরামকৃষ্ণ । তোমার উটি খুব আছে ! ( সকলের হাস্ত । ) [ বিজ্ঞান কিরূপে হয়—ব্রহ্মদর্শন। ] শ্রীরামকৃষ্ণ । দেখ, জ্ঞান অজ্ঞানের পার হও, তবে তাকে জানতে পারা ষায় ৷ নানা জ্ঞানের নাম অজ্ঞান। পাণ্ডিত্যের অহঙ্কারও অজ্ঞান। এক ঈশ্বর সৰ্ব্বভূতে আছেন, এই নিশ্চয় বুদ্ধির নাম জ্ঞান। তাকে বিশেষরূপে জানার নাম বিজ্ঞান। যেমন পায়ে কাটা বিধেছে। সে কাটাটা তোলবার জন্য জার । একটা কাটার প্রয়োজন। কাটাটা তোলার পর ছটা কুঁাটাই ফেলে দেয়। প্রথমে অজ্ঞান কাটা দূর করবার জন্য জ্ঞানকাটাটা আদতে হয়। তারপর জ্ঞান অজ্ঞান দুইটাই ফেলে দিতে হয়। তিনি যে জ্ঞান অজ্ঞানের পার! লক্ষ্মণ ঘ’লেছিলেন, রাম ! এ কি আশ্চৰ্য্য ! এত বড় জ্ঞানী স্বয়ং বশিষ্ঠদেব পুত্ৰশোকে অধীর হয়ে কেঁদেছিলেন । রাম ব’ল্লেন, ভাই, যার জ্ঞান আছে, তার অজ্ঞানও আছে, যার এক জ্ঞান আছে তার অনেক জ্ঞানও আছে। যার আলো বোধ আছে, তার অন্ধকার বোধও আছে। ব্ৰহ্ম তিনি জ্ঞান অজ্ঞানের পার, পাপ পুণ্যের পার, ধৰ্ম্মধর্মের পার, শুচি অশুচির পার। - এই বলিয়া ঐরামকৃষ্ণ রামপ্রসাদের গান আবৃত্তি করিয়া ৰলিতে । লাগিলেন— - .. আয় মন বেড়াতে যাবি। কালী কল্পতরুমূলে রে চারি ফল কুড়ায়ে পাবি ॥ ১১৯ পৃষ্ঠ । [ অবাঙ মনসোগোচরম ; ব্রন্ধের স্বরূপ বুঝান যায় না। ] , চামৰস্থ। দুই কাটা ফেলে দেওয়ার পর কি থাকবে ? : ੰ নিত্যশুদ্ধবোধক্কপম্। তা তোমায় কেমন করে বুঝাবো ? কেউ জিজ্ঞাসা করে, স্বী কেমন খেলে। তাকে এখন কি ক'রে বুঝাবে r