-ు কত ঠাই কত দিনে কর দৌড়াদৌড়ি। অদ্য যাও গজারিয়া লক্ষ্মণের বাড়ী ॥ শুনিয়া গোলোক চাদ করিল গমন । বেগেতে চলিল হ’য়ে হরষিত মন ॥ জয় হরি বল মন গৌর হরি বল । নামধ্বনি করি চলে তেজেতে অনল ॥ ক্ষণে লম্ফ ক্ষণে দৌড়ে নামে করে দর্প। বিল মধ্যে দেখে এক অজগর সর্প। বিল মধ্যে খাল এক আড়ে দুই নল । নামিল পাগল তাতে উরু সম জল ॥ সেই জল মধ্য হ’তে উঠে অজগর । ভেসে উঠে তাহার প্রকাণ্ড কলেবর । দুই চক্ষু জলে যেন আকাশের তারা। নাসারন্ধে কর মুষ্টি যায় যেন ধরা ॥ চক্ষু মুখ লাল নাসারন্ধে টানে জল । হইতেছে শব্দ বুড় বুড় কলু কলু। শ্বাস পরিত্যাগে স্বাহী স্বাহ শবদ করে । নর্দমার জল যেন বেগে পড়ে সরে । সৰ্ব্ব অঙ্গ অজগর কালকুট বর্ণ। মস্তক উপর মণি ভূগুপদ চিত্ত্ব ॥ গোস্বামীর অঙ্গে যেই কান্থা খানি ছিল। শ্বাস পরিত্যাগ জলে কান্থী ভিজে গেল ॥ বদন বাগদান করি পড়িল অমনি । দন্ত দুই পাতি যেন মুক্তার গাথনি ॥ তাহা দেখি পাগলের লাগে চমৎকার । বুঝিতে না পারে মৰ্ম্ম কি হ’ল ব্যাপার। খাল পার হয়ে কুলে রহে দাড়াইয় । অজগর পানে প্রভু রহিল চাহিয়া ॥ এ কখন সৰ্প নহে ভাবে মনে মনে । ধাইয়া চলিল সৰ্প পাগলের স্থানে ॥ হা করিয়৷ পাগলকে চলিল গ্রাসিতে । পাগল দৌড়িয়া যায় তাহার ত্রাসেতে ॥ ক্ষণেক দৌড়িয়া শেষে দেখেন ফিরিয়া। আসিতেছে অজগর মুখ বিস্তরিয়া । গোস্বামী ভেবেছে মনে ভয় করি করে । মরণ জীবন সম হরিনাম সার। লইয়া বাবার নাম মারিতেছি ডঙ্কা । চৌদ্ধ ভুবনের মধ্যে কারে করি শঙ্কা ॥ . এসেছে আমাকে খেতে উহাকে ধরিব । ধরিয়া লইয়া মহাপ্রভুকে দেখাব ৷ মধ্য খণ্ড। - ১৩৩ হকুমান গিয়াছিল গন্ধমাদনেতে । পৰ্ব্বত মাথায় রাখে সূৰ্য্য শ্রবণেতে ॥ ভরত বাটুলাঘাতে মুখে উঠে রক্ত । রাম নাম লইয়া বাচিল রাম ভক্ত ॥ প্রথমতঃ কুস্তিরিণী করিল উদ্ধার। কালনেমী রাক্ষসের জীবন সংহার। কাহারে না করে ভয় রাম নাম জোরে । নির্ভয় শরীরে হতু রাম কাৰ্য্য করে ॥ কিছর মিছার প্রাণে কেন বেচে রই ॥ ভাবিতেছি মানব জনম হ’ল কই ॥ বুঝি এই হেতু পাঠালেন কল্পতরু। সৰ্প দৰ্প দেখে কেন হই এত ভীরু ॥ বদন ব্যাদান করি যায় অজগর। দৰ্প করিলেন প্রভু সৰ্প ধরিবার। জয় হরি বলরে গৌর হরি বলে । লম্ফ দিয়া পড়ে অজগরে ধীরে তুলে । অতি দৰ্পে কহে সৰ্পে তোরে ধ’রে নিব ৷ ওরে ফণী তোর মণি প্রভুপদে দিব ॥ ফণীবর পেয়ে ডর তখনি দাড়ায়। সুন্দর কুমার হয়ে দৌড়াইয়া যায়। ধেয়ে যায় ফণী, হ’য়ে সুন্দর বালক । পিছে পিছে ধেয়ে যায় গোস্বামী গোলোক ॥ কৃষকেরা হাল ধরা করিছে দর্শন। যোগালে রাখালে তারা একাদশ জন ॥ বালক সেখানে গিয়া বলে সব করে । রক্ষা কর তোমরা এ বেটা মোরে মারে ॥ তাহগুনি কৃষকেরা রুষিয়া উঠিল । দাড়াও এখানে দেখি কোন বেট এল ॥ আমাদের কাছে তুমি আসিয়াছ হের্থ। । তোমাকে মারিবে হেন কাহার যোগ্যতা ॥ তাহাগুনি গোস্বামী আইলেন বাহুড়ী । উপনীত হ’ল গিয়া লক্ষ্মণের বাড়ী ৷ আহারাদি করিলেন লক্ষণের বাসে । পাগলামী করে ক্ষণকাল বীররসে ॥ বীর রসে যান ভেষে গোলোক গোসাই । ওঢ়ার্কাদি অসিলেন ঠাকুরের ঠাই ॥ পুষ্করিণী তীরে হরি বসিলেন এসে । কিছু দূরে গোলোক নিভৃতে গিয়া বসে। প্রভু হরিচাদ জিজ্ঞাসিলেন গোলোকে ॥ লক্ষণ কেমন আছে কি এসেছ দেখে ॥ 3.
পাতা:শ্রীশ্রীহরি লীলামৃত.djvu/১৪২
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।