মধ্য খণ্ড । ులీన না হ’লে এমন বোল কে পারে বলিতে । তারকের গণ নৈলে চাছে কি ডুবিতে ॥ নৌকামধ্যে নামে মত্ত ছিল যত লোক । সকলের মুখে শব্দ তারক তারক ॥ মধ্যে ফাক করি দিল সকল তরণী । , তার মধ্যে জয় পুরের নৌকা নিল টানি ॥ তারকের নৌকা এই বলিয়৷ গোঁসাই। লম্ফ দিয়া বলে তারকের নৌকা বাই ॥ পড়িয়া নৌকার মাঝে ভাসিয়া চলিল। অক্রর বিশ্বাস এসে লাফিয়া পড়িল । রাইচাদ নিবারণ বদন গোসাই । গোলোকের পুত্র গিরি মথুর দুভাই। গোলোক ঠাকুর গিরি মথুরের পিতে । ঈশ্বরাধিকারী সবে বসি একেত্রেতে ॥ ~নান করে প্রেমাবেশে বড় নৌকা থেকে । • সিংহনাদ প্রায় ধ্বনি উঠে ঝোকে ঝোকে ॥ বলিতে বলিতে হরি-নৃত্য গীত রসে। বর্ণির খালের মধ্যে সব নৌকা পশে । যাহারা বিদেশী নৌকা সঙ্গে এসে ছিল। ছাড়িয়া কতক নৌক বড় নদী গেল ॥ নিজ নিজ স্থানে যায় কাদিয়ে কঁাদিয়ে । কেহ কেহ সঙ্গে রৈল প্রেমে মত্ত হ’য়ে ॥ লোক ভীড় জয় পুরে নৌকার উপরে। গায় গায় লোক ফাক নাহি ডালী যুড়ে। উৰ্দ্ধ সংখ্য ধরে নায় বিশ ত্রিশ মন। নেীকার উপরে লোক উনত্রিশ জন ॥ তার মধ্যে গোস্বামী উল্লম্ফন করিছে । নৌকা হ’তে কেহ কেহ কিনারে পড়েছে। । নায় নায় যোড়াযোড়ি ক্ষণে লাগে তটে । কিনারার লোক গিয়া নৌকা’পরে উঠে। গোস্বামী গোলোক গিয়া পড়েন কিনারে । ফিরে লম্ফ দিয়া পড়ে নৌকার উপরে ॥ নৌকায় যত মানুষ ছিলেন বসিয়া । মাথার উপর দিয়া পড়েছে লাফিয়া ॥ কূল হতে পড়ে এসে বড় নৌক মাঝ । দুই বার দেখা গেল পাছে আছে ল্যাজ ॥ লাঙ্গল পাছায় লম্বা আট নয় হাত। শরীর প্রমাণ লম্বা তের চোঁদ হাত ॥ শ্ৰীগোলোক কীৰ্ত্তনীয়া ঈশ্বরাধিকারী। ভক্তি ভয় আনন্দে সকলে বলে হরি ॥ রাখাল সঙ্গে গোস্বামীর তিলবনে নৃত্য। তালুকের মহেশ্চন্দ্ৰ শ্ৰীহরি পোদ্ধার। - আড়ঙ্গ বৈরাগী মহানন্দ কোটশ্বর ॥ এমত অনেক ভক্ত দেখে চমৎকার । ধূমকেতু তার তুল্য লেজের আকার ॥ এমত আশ্চৰ্য্য কাৰ্য্য দেখে সব নরে । জয় হরি গৌরহরি বলে উচ্চৈঃশ্বরে ॥ পড়িল গোস্বামী গিয়া কুলের উপর। রাখালের হরি বলে শুনিতে সুন্দর ॥ মিশিল গোসাই সব রাখলের সঙ্গে । জয় জয় হরি ধ্বনি দিতেছেন রঙ্গে ॥ পাগলের লীলা খেলা বড় চমৎকার। বিরচিল কবি চুড়ামণি সরকার। পয়ার নাচে গায় রাখালের বলে হরিবোল। নেচেছে গোস্বামী যেন উন্মত্ত পাগল ॥ এক এক বার প্রভু উঠেন নৌকায় । তখন রাখtল হয় পাগলের প্রায় ॥ কেহ কেহ বলে ভাই পাগল কোথায় । * কোথা গেল বলে কেহ খুজিয় বেড়ায় ॥ যখন সকলে হয় শোকাকুল মন । তখন পাগল এসে দেন দরশন ॥ আসিয়া গোসাই কহে ওরে রাখালের । বল বল হরিবল হেদেরে শালার ॥ রাখলের বলে যাহা বল তাতে রাজী। গোরাখাল বলে ফেলে যেওনা বাবাজী ॥ রাখালের সঙ্গে রঙ্গে পাগল গোসাই । হুঙ্কারিয়া নাচে আনন্দের সীমা নাই ॥ নাচিতে নাচিতে হরি হরি বলে কঁদে । গোস্বামী হুঙ্কার ছাড়ি ড়াকে হরিচাদে ॥ কেঁদে কেঁদে তিল বলে লুকা’ল গোসাই । অন্বেষণ করি ফিরে রাখাল সবাই ৷ কোথা গেল কোথা গেল রাখালের রব । পেলেম ব৷ কারে তারে হারাইতু সব ॥ সকল রাখাল মিলে খুজে বনে বনে। সবে মিলে তিলবন করে অন্বেষণ ॥ তিল তিল অন্বেষণ করিয়া না পায়। তাহাতে তিলের চার গাছ ভেঙ্গে যায়।
পাতা:শ্রীশ্রীহরি লীলামৃত.djvu/১৪৮
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।