ب. م. م. م. م. عر، م م های ترم جم ماه مه ۹ مه ۰ সংকীৰ্ত্তন ক্ষান্ত করি সেবা আয়োজন । সবে বলে কিছু পরে করিব ভোজন । গোস্বামী ঈশ্বরচন্দ্ৰ আছেন সভায় । তার সেবা না হ’লকি সেবা করা যায় ॥ বালার দাড়াল এসে গোস্বামীর ঠাই । কর ঘোড়ে বলে পাক করুণ গোঁসাই ॥ গোঁসাই চলিল পাক করিবার তরে। পাগল গোঁসাই যান তার সমি ত্যরে ॥ আবার মাতিল সবে নাম সংকীৰ্ত্তনে । দুই প্ৰভু চলিলেন রন্ধন কারণে । বাহিরাবটীতে সবে গান করে যথা । অধিকারী ঠাকুরের হুকা ছিল তথা ॥ ঠাকুরের বিছানায় বালিস হেলানে । এ দিকে মাতিল সবে নাম সংকীৰ্ত্তনে ॥ --তার মধ্যে একজন উন্মত্তের ন্যায় । নেচে গেয়ে বালিসের নিকটেতে যায়। ঢলিয়া পড়িল গিয়া বালিসের গায় । পদ লাগি নচে খান ভাঙ্গিল তথায় ॥ মধ্য বাড়ী ছাড়িয়া বাহির বাড়ী নাম । , সেই খানে হুক। ভাঙ্গে কীৰ্ত্তনের ধাম ॥ পাক করে অন্তঃপুরে মধ্যে এক ঘরে। গোলোক ঈশ্বর দুই প্রভু একতরে। অন্তৰ্য্যামী পাগল গর্জিয়া উঠিয়াছে। কহেন গোসাঁই তব হুক ভাঙ্গিয়াছে ॥ স্থত গ্রন্থী দিয়া ঘোড়াইছে সেই হুক । স্থত। পাক ইয়া বাধিতেছে ভাঙ্গা মুখ ৷ পাগল আসিয়া করে তর্জন গর্জন । ঠাকুরের হুক ভাঙ্গিলীরে কোনজন ॥ ঘরে বসি হুক। বাধে দীপ আলোকেতে । গোস্বামীর ক্রোধ বাক্য শুনি ডরে চিতে ॥ ভয়ে দীপ নিভাইল বসে অন্ধকারে । গোস্বামী বলেন বেটা আছে এই ঘরে। দীপ নিভাইয়া বেটা বসে র’লি ঘরে । ভেবেছিস্ আমি বুঝি দেখি নাই তোরে। কিরূপে বাধিলি হুক। দীপ জ্বালা দেখি। বাধন আটেন মোটে তার করিবি কি ৷ দীপ জ্বালাইয়া হুক দেখা’ল তখনে । পতিত হইল ভয়ে গোস্বামী চরণে ॥ অপরাধ করিয়াছি প্রভু ক্ষম। চাই । হুক কিনে দিব এনে অজ্ঞা কর তাই ॥ মধ্য খণ্ড । পাগল কহেন মোর। চলে যাব প্রতে। তুই যাবি কতক্ষণে হুক। কিনে দিতে ॥ শীঘ্ৰ করি আন আটালিয়৷ কালামাট । ভাঙ্গ হুক গোড় দিয়া করি পরিপাটী ॥ • সেই মাটী এনে দিল পাগলের ঠাই। তৈল মাটী দিয়া হুকা ঘোড়া’ল গোসাই ॥ তামাক সাজিয়া নিল রসই ঘরেতে। হুক ধরি দিল নিয়া ঠাকুরের হাতে ॥ হস্ত ধৌত কর প্রভু শেষে কর পাক । ধূম্ৰ পান কর সেরে এলেছি তামাক ॥ অধিকারী হুক। ধরি খাইল তামাক । এই নাকি ভাঙ্গ ছক কই যোড়। ফণক ॥ ঠাকুর ধরিয়া হুক দেখে আগ৷ গোড়ী । 38X জিজ্ঞাস করিছে হুকা কোথা দিলে ঘোড়া ॥ পাগল বলেন হুক প্রবাসে চলিবে । বাড়ী গেলে ঘোড়া ছেড়ে খসিয়া পড়িবে ॥ অধিকারী পাক করি বসিলেন খেতে । অৰ্দ্ধ-সেব হইলে পাগল বসে সাথে ॥ খাইল দাইল শাক লাবড়া ব্যঞ্জন । টক দধি দুগ্ধ বাকী করিতে ভোজন ॥
- হেন কালে পাগল সে পাত্র ল’য়ে গেল ।
অধিকারী কাছ হ’তে দুরেতে বসিল । টক পাত্ৰ দধি পাত্র চিনি দুগ্ধ ল’য়ে। একত্র করিয়া সব নিলেন মাখিয়ে ॥ গোস্বামীকে কহে তুমি কর আচমন। এ মহাপ্রসাদ আমি করি বিতরণ ॥ আমি তুমি একেত্রে খাইব বনমাঝে । ইহা খেতে আসিও না শিষ্যের সমাজে ॥ নহে বহিৰ্ব্বাট গিয়া বৈদ সেইহানে। তার কিবা কাৰ্য্য আছে এ বৃথা চৰ্ব্বণে ॥ গোস্বামী বসিল গিয়া ভক্তের সমাজে । পাগল প্রসাদ বাটে সংকীৰ্ত্তন মাঝে ॥ দধি দুগ্ধ গোস্বামীর সেবা নাহি হ’ল। পাগল সম্মুখ হ’তে কড়িয়া লইল । অবিবেকী সাধারণ লোক যারা ছিল। পাগলের ভাব তার বুঝিতে নারিল ॥ অনেক লোকের মনে বিদ্বেষ জন্মিল । এলীল। তারক চন্দ্র ভাষায় রচিল ॥ r 。 f