পাতা:শ্রীশ্রীহরি লীলামৃত.djvu/১৫১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

S 8ર পাগলের নামে বিদ্বেষ । পৃয়ার। সবে মিলে কাণাকণি করে পরস্পরে। এই সব কাৰ্য্য কি পাগল ভাল করে ॥ ঠাকুরেব সন্ত্রম না রাখে এই বেটী । বার জাতি মধ্যে কেন এঠে ভাত বাট ॥ কেন ঠাকুরের এক সাথে খেতে বসে । দধি দুগ্ধ না থাইতে কেড়ে দিল শেষে ॥ পাগল হইল কেন এত অত্যাচারী। মহাপ্রভু পিতৃগুরু ঈশ্বরাধিকারী ॥ সাথে খায় কেড়ে লয় সেবা না হইতে । গৃহস্থের তিল ভাঙ্গে রাখালের সাতে ॥ তিলআল। গৃহস্তের কত মন্দ কয় । উচিত বলিতে গেলে সাধু নিন্দ হয়। এই মত পাগলামী কেন উনি করে। এ কথা জানাও সবে ঠাকুর গোচরে ॥ মহোৎসব করি পরে সবে বাড়ী যায়। প্রভুর নিকটে গিয়া একে একে কয় ॥ " শুনিয়া ঠাকুর কয় তারে পাই যদি । দেখিস কি করি যদি আসে ওঢ়ার্কাদি ৷ থাক সবে গোলোক আসিবে যেই দিনে । সেদিন সকলে তোরা আসিস্ এখানে ॥ কি জন্য করিল বেটা এত পাগলামি । গোলোকের পাগলামী ভেঙ্গে দিব আমি ॥ একদিন গোলোক আসিল ওঢ়ার্কাদি । সেই দিন সবে গিয়া হইলেন বাদী ॥ জয় হরি বল মন গৌর হরি বল। গম্ভীর হুঙ্কার করি উঠিল পাগল ॥ " মতুয়ার বসিয়াছে ঠাকুর নিকটে। পাগলে দেখিয়া হরিচাদ খেপে উঠে ॥ বল রে গোলোক মহোৎসবে কি করিলি । গুরু ঠাকুরের কেন অপমান কৈলি ॥, রাখাল লইয়া কেন তিল ভেঙ্গে দিলি । গৃহস্থ আসিয়া কেন দেয় গালাগালি । গোলোক কহিছে প্রভু কি কহিব আমি । যাহ কর তাহা করি হয় পাগলামি ॥ নাহি মোর জ্ঞান কাণ্ড তাতে হই দোষী। ভালমন্দ নাহি বুঝি প্রেম লয়ে খুসী ৷ কে যেন কি ক’রে যায় কিবা হিতাহিত । - জানিয়। করুণ দণ্ড যে হয় উচিত। শ্ৰীশ্ৰীহরিলীলামৃত। তিল ভাঙ্গি রাখালের সঙ্গে সঙ্গে থেকে । হিন্দু দিল গলাগলি দাই নিল ডেকে ॥ যার জমি দেই দাই বলিল নাচিতে । তিল ভঙ্গী দাই বেটা আনন্দিত তাতে ॥ এ যেন কাহার কার্য্য আমি নহে বুঝি । ডেকে নিয়া তিল ভাঙ্গে কেন এত রাজী ॥ ঠাকুরের সঙ্গে খাই তোমার প্রসাদ । নাহি জানি তাতে কি হইল অপরাধ ॥ প্রসাদ বিলাই আমি কীৰ্ত্তন সভায় । যে প্রসাদ হ’য়ে থাকে বাজারে বিক্রয় ॥ করেছি যে কৰ্ম্ম মৰ্ম্ম বুঝি বা না বুঝি । ভাগবত সিদ্ধ ক্রিয়া জগবন্ধু রাজী ॥ পাগল বলেছে তোর জয় হরি বোল । কেবা কি করিতে পারে খেপিল পাগল ॥; মহাপ্রভু বলে তোর করিলি নালিশ । যাহা কহে কর দেখি ইহার শালিস ॥ প্রসাদ বিলাইবার পারে কি না পারে। যে প্রসাদ বিক্ৰী হয় আনন্দ বাজারে। কুকুরের মুখ হ'তে দ্বিজে কেড়ে খায়। তাহী বিলাইয়া কি গোলোক দোষী হয় ॥ আনন্দ বাজার নহে এ নহে উৎকল । ইহ যেই মনে ভাবে সেই মূঢ় ধল । এ হেন আনন্দ চিত্ত হ’য়েছে যাহার । তার কাছে এই সেই আনন্দ বাজার ॥ প্রসাদেতে অবিশ্বাস মনেতে ভাবিলি । তবে তোর হাত পেতে কেন তাহ নিলি । প্রসাদ লইয়া কই মন হৈল খাটি । ছাই মাটী ল’য়ে কি করিলি চাটচোটি ॥ হিন্দু দেয় গালাগালি দাই ডেকে নিল । যেনে আয় কার ক্ষেতে হ’ল কত তিল ৷ তোরা যে নালিশ কৈলি না জেনে সন্ধান । যা দেখি সে ঠাকুরের ভাঙ্গ হুক আনি ॥ ঠাকুরের হুক ভাঙ্গে কীৰ্ত্তন খোলায় । পাক ঘরে গোলোক কেমনে টের পায় ॥ সুতা দিয়া গ্রন্থী দিল গিরে অাটে নাই । মাটী দিয়া গোলোক যোড়ী’য়ে দিল তাই ॥ বলিতে বলিতে প্রভু আরক্ত নয়ন । বলিলেন বাহ রুষ্ট কর্কশ বচন ॥ ভাঙ্গ হুক মাটী দিয়া যে দিয়াছে যোড় । তার পরে দ্বেষ করা মোরে নিন্দ করা ॥ e