$68 কোন কোন লোকের করেছ অপমান। চুপে চুপে এই খানে করুন প্রস্থান ॥ শুনিয়া পাগল অারে। চেতিল দ্বিগুন । আমি ভয় করিব করেছি কারে খুন। জয় রাম গৌর হরি বলিয়া বলিয়।। হুঙ্কার ছাড়িয়া ভ্ৰমে বাজার বেড়িয়া ৷ লোকে বলে পাগল আসিল কোথা হ’তে । দ্বারগা বলে পাগল হইল কিমতে ॥ তাহ৷ শুনি পাগল করিয়া হুহুঙ্কার। লম্ফ দিয়া পড়ে দ্বারগার নৌক৷ পর ॥ আর লম্ফ দিয়া পড়ে দ্বারগার ঠাই। দ্বারগা বলেন পদে রেখহে সোসাই ॥ বাজার বাহির হয়ে ধাইল পাগল। ক্ষণে রাম রাম ক্ষণে গৌরহরি বোল ॥ একটি বেদের মেয়ে আসিয়। সেখানে । হরি বলে কাদে বারি ঝরে হুনয়নে ॥ পাগলের পদে পড়ে করিছে রেদিন । । বলে বাব। দয়া করি দেহ শীচরণ। আপনার জন্তে কিছু দধি রাখিয়াছি। দয়া করি খাও যদি তবে আমি বাচি ॥ অমিত বেদের মেয়ে যবনের ঘরে । কোন সাহসেতে দধি দিবহে তোমারে ॥ পাগল কহিছে তুমি কি ব্যবসা কর । সে মেয়ে কহিছে সব জানিবারে পার ॥ মনোহারী মাল লয়ে পাড়াগায় ভ্ৰমি । একদরে কিনি এক ধরে বেচি আমি । কেহ যদি দায় ঠেকে করি উপকার । সাধ্য অনুযায় যাহা যার দরকার ॥ উপকার অর্থে অর্থ কারে যদি দেই । দিতে যদি পারে তার মুদ নাহি নেই ॥ তবে যদি সেই নিজে খুলী হ’য়ে দেয়। চাহিয়া কাহার কাছে করিনা আদায় ॥ শুনিয়া পাগল তার বদন চুম্বিল। পরে দধি এনেদিল পাগল থাইল । সে স্থল হইতে যাত্রা করিল যখন। পাগলের সঙ্গে চলিল উমাচরণ ॥ উমাচরণের বাড়ী হৈল উপনীত । ঘাটে গিয়া দাড়াইয়। রহে এক ভীত ॥ পুন এসে বাড়ী পরে যত হাড়ি ছিল । বাহিরের ভাঙ্গ হাড়ি পাগল আনিল ॥ শ্ৰীশ্ৰীহরিলীলামৃত। রাই চরণকে কহে কুড়াইয়৷ দেও। অকৰ্ম্ম। কলসী হাড়ি আমার যোগাও ॥ চারি পাচ বাড়ী যত কলসী বা হাড়ি। মজুত করিল উমাচরণের বাড়ী : পাগল চলিল ঘাটে হাড়ি কুন্ত লয়ে। রাই যোগাইয় দেয় পিছু পিছু গিয়ে ॥ তাহা দেখি হাড়ি উমাচরণ দিতেছে । দুজনে যোগায় নিয়া পাগলের কাছে ॥ ভাঙ্গ হাড়ি যত নিছে পাগল নিকটে । আছাড়িয়া ভাঙ্গিতে লাগিল সেই ঘাটে ॥ বাহিরের হাড়ি সব ভাঙ্গা হ’য়ে গেল। আন আন আন শব্দ করিতে লাগিল। তাহগুনি উমাচরণে বৃদ্ধ। মাত।। বলে উমা বল আর হাড়ি পাবি কোথা ॥ বাহিরের হাড়ি সব ফুরাইয়া গেল। . ঘরে যাহ। ছিল সব আনিতে লাগিল। ঘরে ছিল নূতন নূতন যত হাড়ি। পাগলের নিকটেতে লয়ে যায় বুড়ি ॥ তাহ দেখি প্রভু বলে হ’ল ঘাট বাধা । এ ঘাটেতে অার নাহি হবে সর কাদ। ॥ জোয়ার ভাটার দেশ ঘাটে হয় কাদ। সেই জন্য হ’ল মাগে৷ এই ঘাট বাধা ॥ অদ্যাবধি সেই ঘাটে র্কাদ নাহি হয়। পাগলের বরে ঘাট শান তুল্য রয় ॥ পাগলের ঘাট বাধা অলৌকিক কাজ । রচিল তারক চন্দ্র কবি রসরাজ ॥ . পাগলের প্রত্যাবৰ্ত্তন। পয়ার উত্তরাভিমুখ চলে পাগল গোসাই। চলিলেন গঙ্গাচর্ণ সঙ্গে চলে রাই ॥ পার হতে মধুমতী নৌকা নাহি পায়। হাটুরিয়া এক নৌকা দেখিবারে পায়। পাঁচ জন একনায় হাটে যাইবারে। দোকান পসার তুলে নৌকার উপরে ॥ নৌকার নিকটে গিয়া বলিল গোসাই। এই নেীক পরে তুমি উঠ গিয়া রাই ॥ রাই গিয়া উঠিল সে নৌকার উপরে। হাটুরিয়। একজন বলে ক্রোধ ভরে ।
পাতা:শ্রীশ্রীহরি লীলামৃত.djvu/১৬৩
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।