〉むや কীৰ্ত্তিক ধাইয়া দাড়াইয়া সভাপাশ্বে। দেখেছে সভায় যত চেগা বগা, বসে ॥ শিয়াল কুকুর আর শকুন বিড়াল। ছাগ মেঘ গে। মহিষ আছে পালে পাল ॥ পাঁচ ছয় শত লোক ছিল যে সভায় । তার মধ্যে শতেক মনুষ্য দেখা যায়। দেখিয়া কাৰ্ত্তিক হ’ল বিস্মিত হৃদয়। লুঠিয়া পড়িল এসে পাগলের পায়। এ ভব মায়াপ্রপঞ্চ সার কিছু নাই । কহিছে তারকচন্দ্র হরি বল ভাই ॥ রুদ্র-উদ্ধার । পয়ার। চলিল গোলোকশ্চন্দ্র উত্তরাভিমুখে । বামুড়িয়া গ্রামে যাব কহিল সবাকে ॥ ভক্তগণ কতক চলিল সঙ্গে সঙ্গে । হরিবলে হাসে র্কাদে নাচে গায় রঙ্গে ॥ রাইচরণ মদনকৃষ্ণ কোটশ্বর। মহেশ শু্যামাচরণ শ্রীহরি পোদার ॥ সবে যায় হরিবোল বলিতে বলিতে । উত্তরিল মধুমতী নদীর কুলেতে। বড় গুণীর পশ্চিমে ভৈরব নগর । রুদ্রমণ্ডলের বাড়ী নদীর কিনার ॥ বাড়ীহ’তে মধুমতী অতিদুর নয়। শতহস্ত পরিমিত যদি বেশী হয়। পরিষ্কার ঘাট তার বাড়ীর নিকট । সব লোকে তারে ব্যাখ্যা করে রুদ্রঘাট ॥ মতুয়ার হরি বলে যবে যায় হেটে । মারিবার জন্য রুদ্র লাঠিল’য়ে ছুটে । তাহা দেখি মর্তুয়ারা চুপ করে যায়। কোন দিন তথা নাহি হরিনাম লয় ॥ এই ভাবে বহুদিন চুপে চুপে যায়। অদ্য সেই ঘাটে গিয়া হইল উদয় ॥ পাগল বলেছে সবে সেই ঘাটে গিয়া । আজ সবে হরি বল নাচিয়া নাচিয় ॥ যাহার শরীরে আছে যত টুক শক্তি। সেই শক্তি দিয়া নাম বল করে ভক্তি ॥ তাহা শুনি যার যত ছিল নিজবল। সিংহের প্রতাপে সবে বলে হরিবল ॥ .ه۔ ...: *۹ این دهانه X শ্ৰীশ্ৰীহরিলীলামৃত। তাহাগুনি রুদ্র এক যঠি নিল হাতে । যত হরিবলা গণে আসিল মারিতে ॥ মহাদস্ত, মহাকায় মহাবলবান। দেশের যতেক লোক ভয়ে কম্প বাণ ॥ পাগল দেখিল রুদ্র আসিল মারিতে। দৌড়িয়া গেলেন সেই রুদ্রের সাক্ষাতে ॥ ক্রোধভরে কহে তারে ওরে রুদ্র দাদা । তোর ঘাটে হরিবলে এত বড় স্পৰ্দ্ধা ॥ হরি হরি হরি বলে ওরা মারে ডঙ্কা । তুমি আমি দুই ভাই কারে করি শঙ্কা ॥ হরিবলে ভণ্ডামি করিছে সব ভণ্ড । আমি দিব উহাদেরে সমুচিত দণ্ড ॥ রুদ্রের হাতের যঠি লষ্টল কাড়িয়ে । - আয় দাদা বলিয়ে চলিল বেগে ধেয়ে ॥ তর্জন গর্জন করি গোস্বামী চলেছে। পাগল চলিল আগে রুদ্র যায় পিছে ৷ গোস্বামী বলিছে পাষণ্ডীর রক্ষা নাই । কার ঘাটে হরি হরি বলিস্ সবাই ॥ তর্জনে গর্জনে ধায় হরি বোল দিকে । মারিবার বাড়ী হাকে রুদ্রের সম্মুখে ॥ আগুলিয়। লম্ফ দিয়ে পিছে চলে যায়। অধরোষ্ঠ কাপে বাগে কঁাপিতেছে কায় ॥ বিমুখ হইয়া পড়ে হ’য়ে মাতোয়ারা। রুদ্রকে ঘেরিয়া করে লাঠি পাইতারা। সঙ্গীর ইঙ্গিতে হরি বলিতে বলিতে । ধরিয়া রুদ্রের হস্ত লাগিল ঘুরিতে ॥ মধ্যে রুদ্র চতুর্দিকে নাচে ভক্তগণ। নদীমূধ্যে গোলা পড়ে হইল তেমন ॥ তার মধ্যে হুহুঙ্কার ছাড়িল পাগল । জয় হরি বল রে গৌর হরি বল ॥ অচৈতন্য হ’য়ে রুদ্র হইল বিহবলা । রুদ্রকে ঘেরিয়া হরিবলে হরিবলা ॥ সবে বলে হরিবল বল হরিবল । রুদ্র সে চৈতন্য পেয়ে বলে হরিবল ॥ হরিবলে রুদ্র গোস্বামীর পায় পড়ি । কীৰ্ত্তনের মধ্যে রুদ্র যায় গড়াগড়ি ॥ রুদ্র বলে আমাকে বলিলে যদি দাদা। এই ভাবে তব মন থাকে যেন সদ৷ আমি তোর দাদা হই তুই মোর ভাই। জনমে জনমে যেন হেন সঙ্গ পাই ॥
পাতা:শ্রীশ্রীহরি লীলামৃত.djvu/১৬৫
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।