ওঢ়ার্কাদিবাসী যত হরিভক্তগণ । এমন পাষণ্ডী কোথা পেয়েছ কি আর ॥ মহাপ্রভুগণ মহাপ্রভুর সমান। আমি রহিলাম তার বিশেষ প্রমাণ ॥ আমি যদি তব দাদা তুমি যদি ভাই। : তবে চর্ম আমার বাড়ীর মধ্যে যাই ॥ পাগলের হস্ত ধরি রুদ্র চলে যায় । আগে রুদ্র পশ্চাতে পাগল দয়াময় ॥ তাহা দেখি হরি বোলা মতুয়া সকলে । রুদ্র মণ্ডলের প্রতি হরি হরি বলে । বাড়ীর উপরে নিয়া বলে যোড় করে । সেবা কিছু কর ভাই বসে এই ঘরে ॥ — গোস্বামী যাইয়। দেখে রন্ধনশালায়। পরিপূর্ণ এক হাড়ি অন্ন তথা রয় ॥ গোস্বামী বলেন দাদা ল’য়ে চল ঘটে । মতুয়ার গণে আমি ইহা দিব বেটে ॥ চলিলেন যথা আছে সঙ্গী ভক্তগণ । হাড়ির মুখেতে দিল সরা আভরণ ॥ সেই অন্ন হাড়ি ধরি জলে ডুবাইল । জলমধ্যে বুড় বুড় করিতে লাগিল । যত মতুয়ার গণ বাড়ীতে লইয়া । রুদ্র নাচে হরি বলি প্রেমেতে মাতিয়া ॥ বাড়ীর মধ্যেতে রুদ্র লইয়। তখনে। ভোজন করায় যত হরিভক্তগণে ॥ । তাহ দেখি আসিলেন রুদ্রের রমণী । সব পাতে এনে দিল দধি আর চিনি ॥ গলে বস্ত্ৰ দিয়া তবে কহে দুইজন ৷ দয়া করি গৃহমধ্যে চলহ এখন ॥ ল’য়ে গেল পাগলেরে উত্তরের ঘরে । নারী সহ হরিবল বলে উচ্চৈঃস্বরে। রুদ্র কেঁদে কহে শুন ভাইরে পাগল । ঘর বাড়ী পুত্র নারী তোমার সকল ॥ মতুয়ার। হরিবলে নাচিয়া নাচিয়।। নারী সহ নাচে রুদ্র প্রেমেতে মাতিয়া ॥ মতুয়ার সবে যায় এঘরে ওঘরে । হরি হরি হরিবলে ঘর বাড়ী ঘিরে ॥ গোস্বামী বলেন দাদা যাই বা মুড়িয়ে। বিশ্বাসের বাড়ী যাব নদী পার হয়ে।
- శ3
মধ্য খণ্ড । Süግ Y. রুদ্র বলে অদ্য আমি পার করে দিব । আজ পার না করিলে কিসে পার হ’ব। রুদ্র বলে দে ও ভাই এসত্য কড়ার । আসিতে যাইতে দেখা দিবে একবার ॥ দশ বিশ জন এস কিম্বা এস একা । অসিতে যাইতে মোরে দিয়া যাবে দেখা ॥ বৈটালয়ে রুদ্র এসে নিজ হাতে বেয়ে । পার করে দিল সবে নৌকায় উঠা’য়ে ॥ রুদ্রের উদ্ধার পার করিল গোসাই । রচিল তারকচন্দ্র হরি বল ভাই ॥ পাগলের ওলাউঠ তাড়ান। পয়ার । একবার নারিকেলবাড়ী সে গ্রামেতে। উপনীত ওলাউঠ। ব্যাধি সেস্থানেতে ॥ মরিল অনেক লোক ভাব বিপরীত । তাহাতে অনেক লোক হৈল চমকিত ॥ ভয়ভীত হ’য়ে কেহ না পারে চলিতে। রাত্রি দ্বার বন্ধ নাহি চলে দিবসেতে। মহানন্দ নাগর চলিল ওঢ়ার্কাদি । কহে সব ঠাকুরের শ্রীচরণ বন্দি ॥ নাগর সরিষা নিল বসনেতে বাধি। ওলাওঠা আসিয়াছে কহে কঁাদি কঁদি ॥ ঠাকুর কহেন তাতে তোদের কি ভয়। যা হ’বার হউক তোদের নাহি দায় ॥ তবু কহে নাগর উপায় কিবা করি। প্রভু কনভয় নাই বল হরি হরি ॥ গোস্বামী গোলোক তাহ গুণে দাড়াইয়। গোপনে নাগরে নিল ইঙ্গিত করিয়া ॥ কহিছে তোমরা সবে কর দরবার। । আমি যাইতাম দেশে বাসন আমার। মহাপ্রভু নিকটে নগর কহিতেছে । গোলোকে পাঠান যদি তবে ভয় ঘুচে ॥ ঠাকুর বলেন কেন গোলোক যাইবে। হরিবল হ’বে ভাল ভয় নাহি রবে । তবু আর বার গিয়া কহিছে নাগর। জীবনের আশা নাই হ’য়েছি কাতর। ঠাকুর বলেন এত ভয় কি লাগিয়।। আনি দেখি দিব আমি সরিষা পড়িয়া ॥