; • i -அ_ாக ১৫৮ এঐহরিলীলামৃত l
۔ .. -.A ,ی۔ ہر s-م۔م۔صہ ہے.
সরিষা পড়া লাগিয়া মনের বিশ্বাস । ল’য়ে যা সরিষা পড়া ভয় হবে নাশ। আর বার নাগর করিছে দরবার । দাদ। গেলে ভয় মোরা না করিব আর ॥ ঠাকুর বলিল তবে গোলোক নিকট । যাও বাছ। কারু সঙ্গে না করিও হট ॥ শুনিয়া গোলোকচন্দ্র যায় দৌড়াদৌড়ী । সত্বরে উত্তরে গিয়া নারিকেলবাড়ী । জয় হরি বলরে গৌরহরি বল। হুহুঙ্কার করি গিয়া উঠিল পাগল ॥ দন্ত করি গোস্বামী দিলেন একলম্ফ। তাহাতে গ্রামেতে যেন হ’ল ভূমিকম্প । দুর্গাচরণের বাড়ী নবীনের ঘরে । কবিরাজ এসেছিল পূজা পাতিবারে । * s পাগল হুঙ্কার করি কবিরাজে কয় । এই পূজা দিলে যদি কলের না যায় ॥ যত লোক মরে তার সব দাবী দিবি । পূজা দিয়া কলের কি তাড়াতে পারিবি । দুর্গাচরণেরে বলে ছাড় গণ্ডগোল । ওঢ়ার্কাদি মুখে হ’য়ে হরি হরি বোল ॥ তথ। হ’তে চলিলেন বাহুলের ঘরে । তিন মেয়ে ব্যাধিযুক্ত কহে বাহুলেরে । মেয়ে যদি মরে আমি সে জবাব দিব । হরিচাদ নামে আমি কলেরা ঘুচা’ব ৷ মেয়ে থাক ঘরে তোর মোর সঙ্গে চল । একান্ত মনেতে তোর হরি হরি বল ॥ ওঢ়াকাদি প্রভুনামে মান জরিমান। সকলেরায় মেয়ে তোর মরিতে দিব না ॥ বাহুল আইল সঙ্গে চিন্তা নাহি আর । হরি বলে পাগল ছাড়িছে হুহুঙ্কার ॥ গ্রামের লোকের শঙ্কা ঘুচিল সকল । দিবানিশি সমভাব নির্ভয় হইল ॥ কবিরাজ যেই রাত্রি পূজা পেতেছিল। ভয় পেয়ে সেই রাত্রি পলাইয়া গেল* পাগল বসিল এসে নাগরের ঘরে । সেই ঘরে থেকে সবে হরিনাম করে ॥ বাটীর ঈশান কোণে এক শব্দ পেয়ে । সেই কোণে পাগল চলিল ক্রোধে ধেয়ে ॥ নাগরে বলিল ডেকে থাক গিয়া ঘরে। ওঢ়াক দি মুখে হয়ে ডাকগে বাবারে ॥ - নগর আসিয়া ঘরে নিদ্র। নাহি যায়। হরিনাম ল’য়ে সেই রঙ্গনী পোহয় ॥. . সে পাগল সিংহের প্রতাপে হরি বলে । আগে আগে ওলাউঠ দৌড়ে যায় চলে । হস্তীর বৃংহিত রব শুনায় যেমন । কলেরা দৌড়ায় শব্দ হ’তেছ তেমন ॥ চলিল সে ওলাউঠ পূৰ্ব্বমূখ হয়ে। নির্ভয় গোলোক তারে নিল ধাওয়াইয়ে। গ্রামমধ্যে রাত্রি ভরি ভ্ৰমিছে পাগল । গ্রাম লোক তাহা শুনি বলে হরি বোল । কলেরা উঠিল গিয়া খোলের ভিটায়। তার পর পাগল চলিল নিজলয় ॥ পর রাত্রি খলিয়ার ভিটায় চলিল । প্রভু হরিচাঁদ বলি পাগল ডাকিল ॥ - সে ভিটা ছাড়িয়া গেল ওড়ার ভিটায় । - তাহা দেখি পাগল চলিল নিজালয় ॥ পাগল বলিল মহানন্দ নাগরেকে । নিজড়ায় কলেরা গিয়াছে দায় ঠেকে ॥ সেখানে যদিচ থাকে সেও ভাল নয়। নিজড় গ্রামেতে যা’ব আজকে নিশায় ॥ মহানন্দ নাগর করিছে তাতে মান । সে গ্রামে থাকিলে কোন ক্ষতি হইবে না । নিশীথে পাগল গেল নিজড়ার গায় । হরিধ্বনি দিয়া উঠে ওঢ়ার ভিটায় ॥ কলের আসিয়া তথা হল মূৰ্ত্তিমন্ত । প্রকাণ্ড শরীর তার বড়ই দুরন্ত ॥ ভূতভিটা বলি তার আছে পরিচয় । ভিটার উপর থাকি ডাক দিয়া কয় ॥ তোর ভয়ে আমি আসিয়াছি এই গ্রামে। তুই কেন হেথা আলি দ্বিতীয়ার খামে ৷ • আলি যদি তবে বেটা আয় এই ঠাই । পড়িলি অামার হাতে তোর রক্ষা নাই ॥ আয় দেখি হ’স তুই কোন কাজে কাজী। আজকার সংগ্রামে হইবে বোঝাবুঝি। পাগল বলেন তুই ভয়ে পলাইলি । আজ তুই এত বল কোথায় পাইলি ॥ আমি হরিচাদদাস তুই ভূত বেট। দেখিব সমরে তোরে রক্ষা করে কেট ॥ বাবা হরির্চাদ বলি ছাড়ি হুহুঙ্কার । লম্ফ দিয়া পৈল গিয়া ভিটার উপর ॥